একসঙ্গে ১ কেজির বেশি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন না খুচরা ক্রেতা

হবিগঞ্জ

পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে হবিগঞ্জে এক কেজির বেশি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, জেলা প্রশাসন রোববার বিকেলে এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়।

জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ বলেন, ‘ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয় যে ক্রাইসিস মোমেন্টের আগে যে পেঁয়াজ মজুত ছিল তা পাইকারি বিক্রি হবে ১২০ টাকায়, খুচরা বিক্রি হবে ১২৫ টাকা দরে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাইকারির ক্ষেত্রে ২ বস্তার বেশি একসঙ্গে এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে নির্দেশনা হলো ১ কেজির বেশি বিক্রি করতে পারবে না। একজন খুচরা ক্রেতা ১ কেজির বেশি পেঁয়াজ কিনতে পারবে না।’

সম্প্রতি ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার খবরে দেশের বাজারে রাতারাতি বেড়ে যায় দাম।

আগে যে পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০ টাকা কেজি, এখন তার দাম ২২০-২৫০ টাকা।

এ অবস্থায় পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে এবং ভোক্তাদের ওপর আর্থিক চাপ কমাতে করণীয় নির্ধারণে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন গতকাল বিশেষ সভা করে।

সভায় জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ বলেন, ‘হঠাৎ করে ভারতীয় পেঁয়াজ আসবে না এমন একটা নিউজের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দেশে হঠাৎ করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা পুরোনো পেঁয়াজও অনেক দামে বিক্রি করার চেষ্টা করেছে। এখানে আমাদের যারা ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমদানিকৃত পাইকারি পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকার বেশি এবং খুচরা দাম ১২৫ টাকার বেশি হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সভার নির্দেশনা অনুযায়ী খুচরা বিক্রেতারা একসঙ্গে এক বা দুই বস্তার বেশি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন না। খুচরা ক্রেতারা সর্বোচ্চ ১ কেজি কিনতে পারবেন। বিক্রেতাদের ন্যূনতম ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে।’

এ নির্দেশ লঙ্ঘনে হলে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয় সভায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, হবিগঞ্জের বাজারে প্রতিদিন ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদা আছে।

যোগাযোগ করা হলে হবিগঞ্জের জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা বলেন, ‘হঠাৎ করে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরে দাম বাড়ছে। তবে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে দূরে আছেন হবিগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’

সভায় জেলা প্রশাসন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *