সাজেক কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সাজেকে মোট ১২০টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকশূন্য থাকার কারণে রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ কর্মচারী সাজেক ছেড়ে চলে গেছেন।
এছাড়া, সহিংসতার জেরে ৮ অক্টোবর খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলার সব পর্যটন কেন্দ্রে বিরত থাকার অনুরোধ জানায় প্রশাসন।
পর্যটন কেন্দ্র উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, "এখানকার পর্যটন খাতের সঙ্গে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকায় এখাতে অনেকে বেকার হয়ে পড়েছেন। পর্যটন চালু হওয়ায় খাত সংশ্লিষ্টদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।"
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির জেলাপ্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান বলেন, "মঙ্গলবার থেকে খাগড়াছড়ি জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সাজেকে যেহেতু খাগড়াছড়ি জেলা সড়ক হয়ে যেতে হয়, সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার থেকে সাজেকেও পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।"
তিনি আরও জানান, ১ মাস পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ খাতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১৫ কোটি টাকা।