ভারতে ইলিশ রপ্তানিতে সরকারের অনুমতির পর গত এক সপ্তাহে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৩১ ট্রাকে ৪১১ টন ৩০০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) ১৩ ট্রাকে করে ৪২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে বলে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ৩০ ট্রাকে ৯২ টন, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ২৩ ট্রাকে ৬৯ টন ৬৪০ কেজি, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ৩০ ট্রাকে ৮৯ টন, রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ছয় ট্রাকে ১৯ টন, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ১৫ ট্রাকে ৪৫ টন ২০০ কেজি ও বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০ ট্রাকে ৫৪ টন ৪৬০ কেজি রপ্তানি হয়েছে।
এদিকে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে ক্ষুব্ধ যশোরসহ গোটা দেশের মানুষ। দেশের বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০-২০০০ টাকায় বিক্রি হলেও ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। এটি কিভাবে সম্ভব সেটি নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবশ্য ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র বলেছে, প্রকৃতপক্ষে ওই দরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে না।
গত মাসের ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রপ্তানিকারককে দুই হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র দেয় সরকার। এরমধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। ১২ অক্টোবর এর মধ্যে রপ্তানি শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইলিশ রপ্তানিকারক বেনাপোলের সততা ফিসের ম্যানেজার রকি মাহামুদ জানান, প্রজননের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময়ে দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। এ বছর ইলিশ রপ্তানির সময় বাড়ানো না হলে অনুমোদিত ইলিশ নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ রপ্তানি করা কঠিন হয়ে যাবে। সর্বোচ্চ ৫০০-৭০০ টন ইলিশ যেতে পারে।
বেনাপোল মৎস্য অফিসের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারের বিশেষ অনুমতিতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হলেও অনেকে প্রতিষ্ঠান এখনো ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করতে পারেনি।
শেয়ার করুন