এখনও ব্যতিক্রমী আনোয়ারুজ্জামান!

সিলেট

তিনি আসলে নানা কারণেই ব্যতিক্রম। প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ হলেও আচরণে তার ছিটেফোটাও থাকা না, দেশের বাইরে যখন থাকেন তখনো মন পড়ে থাকে সিলেটের মানুষের কাছে, তাদের সুখে হাসেন, দুঃখে কাঁদেন। সবসময় সাধারণ মানুষের কাছাকাছিই তার অবস্থান, যদিও দেশের রাজনীতির সর্বোচ্চ পর্যায়েও তার বিচরণ বহুদিনের।

মহামারি করোনাকালে তিনি যেমন সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন, তেমনি পাশে ছিলেন গত বছরের ভয়াবহ বন্যায়ও। সবমিলিয়ে ভক্ত-অনুরাগী এবং সচেতন মহলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট সিটি করপোরেশনের আগামী নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন ব্যতিক্রমি মানুষ হিসাবেই পরিচিত।

ইদানিং তা আরও বেশি চোখে পড়ছে সাধারণ মানুষের। কখনো পবিত্র জুম’আর নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিদের সাথে মিশে যাওয়া, কখনোবা শীতবস্ত্র বিতরণ বা অন্য যেকোনভাবে সহায়তার হাত প্রসারিত করে মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদন করছেন প্রতিনিয়ত।

সিলেট সিটি করপোরেশনের আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র হিসাবে তার প্রার্থীতার গ্রিন- সিগনাল পাওয়ার পর থেকেই তিনি চষে বেড়াতে শুরু করেছেন নিজের চিরচেনা সিলেট মহানগরী।

এমনিতেই এ নগরী তার খুব চেনা। সেকালে ছাত্রলীগ নেতা হিসাবে ঘুরে বেড়িয়েছেন এর অলিগলি। আর এখন ঘুরে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা হিসাবে। মানুষের সহযোগীতায় কাজ করেছেন অতিতে। বর্তমানেও তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

সোমবার তিনি সিলেট মহানগরীর উপশহর এলাকার অসহায় দরিদ্র মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেছেন। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম এ রাজনীতিবিদ। অনেকেই শীতবস্ত্র হিসাবে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ করেন। কিন্তু তা শীত প্রতিরোধে কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রায়ই বিতর্ক হয়, হয় সমালোচনাও।

তবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বিতরণকৃত কম্বলগুলো খুব মান-সম্পন্ন বলে জানালেন সুবিধাভোগীরা। উপশহর এলাকায়ই থাকেন দরিদ্র জাহেরা খাতুন (৩৮)। একটা মান-সম্মত কম্বল পেয়ে নিজের খুশি আটকে রাখতে পারলেন না তিনি। জানালেন, খুব ভালো কম্বল পেয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি।

বললেন, আনোয়ারুজ্জামান ভাইলগে আমরা সবসময় আছি। গত বন্যার সময় আমরার ইবায় কেউ আইছইন না। কিন্তু আনোয়ার ভাই আইছইন। আমরারে সায্য করছইন। এখনো আইছইন। আমরাও তান লগে আছি।

শুধু জাহেরা খাতুনই নয়। প্রায় একই ধরনের অনুভুতি প্রকাশ করলেন, তেররতন এলাকার ষাটোর্ধ্ব আব্দুল হাসিব, মেন্দিবাগ এলাকার রতন মিয়াসহ আরো অনেকে।

কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল বেশ কয়েকজন শিশু-কিশোরও। তারাও চারপাশে উচ্ছলতার রঙিন আলোর ফোয়ারা ছড়িয়ে বলল, খুশি। আনোয়ার ভাইতো মেয়র! হুনিয়া আমরা খুশি। তাইন আমরারেও মাতাইছইন সুন্দর করি। তানলাগি দোয়া করি আমরা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *