‘এনআইডি সংশোধনে সিলেটকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে’

সিলেট

প্রবাসী অধ্যষিত সিলেটকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সংশোধনী কাজ চলছে। সেইসঙ্গে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের।

তিনি বলেন, সেবাদান আরো সহজীকরণে হটলাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে। এখন থেকে যেকোনো নাগরিক ১০৫ হটলাইনে কল করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনীর বিষয়ে জানতে পারবেন। তাছাড়া দালাল না ধরে ২৪৫ টাকা দিয়ে নিজেই সংশোধনীর আবেদন করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সিলেটে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

মতবিনিময়কালে নির্বাচন কর্মকর্তারা সিলেট বিভাগের চার জেলার ১৯টি উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে এসব উপজেলায় ৩৩ লাখ দুই হাজার ৮১৬ জন ভোটার রয়েছেন। নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯২৬ জন। তথ্য সংগ্রহের হার ৯.৮৭ ভাগ। তবে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর কোনো তথ্য নেই তাদের এই হালনাগাদে।

বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ না করা প্রসঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, অনেকেই বাড়ি বাড়ি যাননি অভিযোগ রয়েছে। কেউ বাদ পড়লে অনলাইনে আবেদন করে ভোটার হতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনীর ক্ষেত্রে ভোগান্তির বিষয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলেন, অনেকে সঠিকভাবে আবেদন করেন না। দোকান থেকে আবেদন করেন, তখন যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন, সেগুলো অসম্পন্ন থাকে। কাগজ একটি বেশি দিলে সমস্যা নেই। কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্যের বিপরীতে কাগজ একটি কম থাকলে তখন সংশোধনীর আবেদন আটকে যায়। তাই সংশোধনীর ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা হয় না।

কর্মকর্তারা বলেন, চার ক্যাটাগরিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা ও আঞ্চলিক কর্মকর্তা এবং মহাপরিচালক সংশোধনী করে থাকেন। ধরণ অনুযায়ী তিনদিন থেকে একমাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। শতশত আবেদন প্রতিদিন জমা হচ্ছে।সংশোধনও করা হচ্ছে। তবে জনবল সংকটের কারণে কাজের কাঙ্খিত অগ্রগতি করতে পারছেন না তারা। এজন্য সংশোধনে সময় লেগে যায়। তবে কতিপয় মধ্যস্বত্বভোগী তথা দালালদের খপ্পরে পড়ে ভোক্তাভোগীরা অনিয়মের দায় কমিশনের উপর চাপিয়ে দেন। তাছাড়া অনেকে কম্পিউটারের আবেদন করতে গিয়ে ভুল করে বসেন। তাই উপকারভোগীদের জন্য হটলাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে, যাতে তার এনআইডি’র ক্যাটাগরির বিষয়ে তাৎক্ষনিক জানতে পারেন।

মতবিনিময়কালে বক্তব্য রাখেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা ও সদ্য যোগদানকৃত সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *