টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় সেশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট থ্রু ইউনিটি বা সাটু নামের একটি এনজিওর কার্যালয়ের পাশ থেকে মো. হাসান (৩০) নামের এক কর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল সদরের মূল সড়কে ওই এনজিওর কার্যালয় সাটু টাওয়ারের বাউন্ডারির পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ। নিহত হাসানের গ্রামের বাড়ি সিরাজঞ্জের উল্লাপাড়ার পুটিয়া গ্রামে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
হাসানের পরিবাারের দাবি, এনজিও কর্তৃপক্ষ জামালপুর থেকে ধরে টাঙ্গাইলে এনে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করেছে, কারণ কিছু টাকা নিয়ে এনজিও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছিল। যদিও এনজিও কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে দাবি করেছে হাসান আত্মহত্যা করেছে।
হাসানের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর হাসান শনিবার সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সাটু এনজিওর কার্যালয়ের বাউন্ডারির পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই এনজিও কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সে সপ্তম তলা থেকে লাফ দিয়ে নিচে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। চিকিৎসক আসছেন। সেখানে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত হবে। সুরতহাল প্রতিবেদন অনুযায়ী মামলা নেয়া হবে।
এদিকে হাসানের বড় ভাই আবু তাহের শনিবার সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, হাসান জামালপুরে ছিল। গত বুধবার তাকে সেখান থেকে ধরে নিয়ে আসে সেতু এনজিও কর্তৃপক্ষ। কারণ কিছু টাকা নিয়ে এনজিও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে গত বুধবার তাকে সেখান থেকে ধরে টাঙ্গাইলে নিয়ে আসে তারা। পরে পরিবারের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা দেয়ার জন্য সময় নেয়া হয়। কিন্তু ওরা আমার ভাইকে বাঁচতে দিল না। আমি এর বিচার চাই।
এদিকে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সাটু এনজিও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনে বাববার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন ধরেননি। তাই কর্তৃপক্ষের মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
শেয়ার করুন