এবার জামায়াতকে দেখতে চান নবীগঞ্জ-বাহুবলবাসী

হবিগঞ্জ

নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলা নিয়ে হবিগঞ্জ-১ আসন। এই এলাকার মানুষ যুগযুগ ধরে নানাভাবে বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছেন। ১৯৭১ সালের পর থেকে এই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জাসদের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এসব এমপির অনেকেরই ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু বঞ্চিত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ সঠিকভাবে তাদের মৌলিক অধিকার পায়নি।

অথচ নির্বাচনের পূর্বে ওইসব প্রার্থী ভোটারদের স্বপ্ন দেখাতেন আকাশচুম্বি। নির্বাচন শেষ হওয়া মাত্র তাদেরকে আর দেখা যেত না। যিনি এমপি নির্বাচিত হতেন তিনি মাঝে মধ্যে দামি গাড়িতে করে ঘুরে বেড়াতেন। সাধারণ মানুষের খবর রাখতেন না। ফলে যুগ যুগ ধরে এই নির্বাচনী এলাকা সবদিক দিয়ে অবহেলার শিকার। শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা নাজুক পর্যায়ে রয়েছে। বৈষম্যের শিকার হওয়া এই এলাকার মানুষ এবার পরিবর্তন চান।

পরিবর্তনের পথে হাটার সুযোগও পেয়েছেন তাঁরা। এই এলাকার মানুষ এবার জামায়াতে ইসলামকে দেখতে চান। এর পেছনে কারণও রয়েছে অনেক।’ নবীগঞ্জের একজন প্রবীন সাংবাদিক হবিগঞ্জ-১ আসন সম্পর্কে ওই মূল্যায়ন করেছেন।

তিনি জানান, ‘জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে এই আসনে মো. শাহজাহান আলীকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। তিনি সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি। বয়সে তরুণ হলেও শাহজাহান আলী সংগঠনের জন্যে, সাধারণ মানুষের জন্যে কাজ করেন ক্লান্তিহীনভাবে। প্রতিশ্রুতিশীল এই নেতা অল্প সময়ের মধ্যে এলাকার মানুষের মধ্যে বাস্তবমুখি স্বপ্ন দেখাতে সফল হয়েছেন। নানান সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে সাধারণ মানুষ তাঁর কাছে গিয়ে নিরাশ হন না। সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির সমস্যা সমাধানে সব ধরনের চেষ্টা চালান শাহজাহান আলী।

তিনি নিজ থেকেও সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের খোঁজ খবর নেন স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে। সব মহলের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করছেন উদার মনোভাব নিয়ে। ৫ আগস্টের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকভাবে মামলা বাণিজ্য হয়েছে। কিন্তু বাহুবল ও নবীগঞ্জে কেউ মামলা বাণিজ্য করার সুযোগ পায়নি। শাহজাহান আলী কঠোর অবস্থানে ছিলেন ওই বিষয়ে।

নিরীহ মানুষ যাতে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার না হন সেদিকে কঠোর নজরদারী রয়েছে। এই বিষয়টির কারণে এলাকায় কয়েকগুণ জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে শাহজাহান আলীর পক্ষে। যার থেকে প্রমাণিত হচ্ছে এলাকায় ন্যায় ও ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন শাহজাহান আলী। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক আলোচনা চলছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তিনি পরিকল্পনার কথা জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষকে। তাঁর আশ্বাসকে গৃহণযোগ্য হিসেবে মেনে নিচ্ছেন সবাই। সার্বিক দিক বিবেচনায় আগামীতে এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর বিজয় হবেন অভাবনীয়ভাবে।’

বাহুবলের ব্যবসায়ী আবদুল আলীম জানান, মো. শাহজাহান আলী এলাকার নিরীহ মানুষের প্রাণ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে তিনি জনপ্রিয়তা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন দ্রুতগতিতে। এর জন্যে একটি কারণই যথেষ্ঠ। কেউ কোনো সমস্যা নিয়ে গেলে খালি হাতে ফিরতে হয় না। যেকোনো ধর্মের মানুষকে তিনি আপন করে কাছে টেনে নেন। অসহায় মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন আন্তরিকভাবে। এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ক্লান্তিহীন। বয়সে তরুণ হলেও এই নেতার মধ্যে রয়েছে অনেক গুণ। যার জন্যে এই নেতার মাধ্যমে এলাকাবাসী তাদের পরিবর্তন চান।

মো. শাহজাহান আলী ১৯৯২ সালে এমসি কলেজে ভর্তি হয়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এখন তিনি সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *