ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফলের কারণেই মহামারী করোনাকালে কোনো কাজ থেমে ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এটিই এখন আমাদের টার্গেট।’
স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে—সেই ধারণাও দিয়েছেন সরকারপ্রধান। স্মার্ট বাংলাদেশের মৌলিক স্তম্ভ হবে চারটি। সেগুলি হলো—স্মার্ট সিটিজেন; স্মার্ট ইকোনমি; স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি।
সোমবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২ এর উদ্বোধন ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করা হয়েছে বলেই করোনাভাইরাসের সময় কোনো কাজ কিন্তু থেমে থাকেনি। আমার অফিস থেকে শুরু করে আদালত, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি অফিসসহ সবকিছু ভার্চুয়ালি চলমান ছিল।’
‘এবার আমাদের টার্গেট স্মার্ট বাংলাদেশ। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিক হবে প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ এবং উপযোগী। প্রযুক্তি নির্ভর হবে আমাদের অর্থনীতির সব লেনদেন ও ব্যবহার। সরকারি সব সুযোগ সুবিধা ও কর্মকাণ্ড হবে প্রযুক্তনির্ভর। সর্বত্রই প্রযুক্তির ব্যবহার হবে। অর্থাৎ আমাদের পুরো সমাজটাই হবে প্রযুক্তিবান্ধব।’
তার বয়স হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘বয়স হয়েছে। যেকোনো সময় চলে যেতে পারি। কিন্তু আমি বসে নেই। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পরিকল্পনা করে সুন্দর পথ পদর্শন করে যাচ্ছি। বেঁচে থাকলে বাস্তবায়ন করবো। না হয় আমাদের তরুণরা বাস্তবায়ন করবে।’
প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, পৃথিবীর আর কোনো দেশেই বোধ হয় এত সিম ব্যবহার হয় না। বাংলাদেশে ১৮ কোটি সিম ব্যবহার হচ্ছে।’
‘শ্রমিকদের বেতন থেকে শুরু করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের উপবৃত্তি মায়েদের মোবাইলফোনে চলে যায়। এই বৃত্তি দেওয়া শুরু হয় তখন ২০ লাখ মায়ের মোবাইলফোন ছিল না। তাদের মোবাইলফোন কিনে দিয়ে আমরা সেটা চালু করেছি।’
অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী বরিশালে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এবং রাজশাহীতে স্থাপিত ‘জয় সিলিকন টাওয়ার’, ‘বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল মিউজিয়াম’ ও ‘বঙ্গবন্ধু সিনেপ্লেক্স’ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এছাড়া আইসিটিতে অবদান রাখায় ২৫ ব্যক্তিকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালন করা হয়। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি’।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সরকার এ দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের ঘোষণা দেয়। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আইসিটি দিবসের পরিবর্তে দিনটি ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্তিক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন