এমপিওভুক্ত ৯১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিলেট বিভাগের ৪ প্রতিষ্ঠান

সিলেট

বিশেষ বিবেচনায় দেশের ৯১টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করে সরকারি অর্ডার (জিও) জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই তালিকায় সিলেট বিভাগের চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব জহিরুল ইসলামের স্বাক্ষর করা পৃথক ৫টি অর্ডারে এসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়।

এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডিগ্রি পর্যায়ে ৭টি, উচ্চ মাধ্যমিকে ৩৪টি, মাধ্যমিকে ১৫টি, নিম্ন মাধ্যমিক ৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়।

সিলেট বিভাগের চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার তিনটি, এবং বাকি একটি সিলেট জেলার। এই তালিকায় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।

নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার কালাই মিয়া চৌধুরী জুনিয়র স্কুল, দোয়ারাবাজার উপজেলার মুহিবুর রহমান মানিক জুনিয়র গার্লস স্কুল, এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ইসহাকপুর-শ্রীরামপুর জুনিয়র স্কুল।

এমপিওভুক্ত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি হচ্ছে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার হাজি সোহরাব আলী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২৫৫টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করেছিল। তার আগে গত বছরের জুলাই মাসে ২ হাজার ৭১৬টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে ২ হাজার ৬৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়। এছাড়া ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল।

যে সব শর্তে ৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হলো:
১. শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়াদি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী কার্যকর হবে। তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মচারীদের যোগ্যতা/অভিজ্ঞতা নিয়োগকালীন বিধি-বিধান ও সংশ্লিষ্ট পরিপত্র মোতাবেক প্রযোজ্য হবে।

২. নিবন্ধন প্রথা চালু হওয়ার পূর্বে বিধিসম্মত ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবেন। কিন্তু পরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য অবশ্যই নিবন্ধন সনদ প্রযোজ্য হবে।

৩. যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচিত হয়েছে তার মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য যোগ্যতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে, সে সব প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হবে এবং পরবর্তীতে কাম্য যোগ্যতা অর্জন সাপেক্ষে স্থগিত এমপিও অবমুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

৪. যে সব তথ্যাদির আলোকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে সেসব তথ্য ভুল বা মিথ্যা প্রমাণিত হলে তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রদানকৃত তথ্যের সঠিকতা সাপেক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এমপিওভুক্তির আদেশ কার্যকর করা হবে।

৫. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির এ আদেশ জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

এমপিও হলো মাসিক বেতন আদেশ কাঠামো। এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে প্রতি মাসে বেতনের মূল অংশ ও কিছু ভাতা পেয়ে থাকেন। বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এ আর্থিক সুবিধা পান না। এ জন্য বেসরকারি স্কুল-কলেজ পর্যায়ে এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি আলোচিত হয়ে আসছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *