বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের এমসি কলেজ শাখার ছাত্রাবাসের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে ছাত্রাবাসের টিবি রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাস নিয়ে শিবিরের ভাবনা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এমসি কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইসমাঈল খান সৌরভের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন সিলেট জেলা শিবির ও মদন মোহন কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি মাওলানা লোকমান আহমদ।

এসময় তিনি বলেন, আমি আমার ছেলের যেরকম কল্যাণ চাই, সেরকম আপনারদেরও চাই। এমসি কলেজের একজন ছাত্র সবচেয়ে নম্র হবে, সবচেয়ে ভদ্র হবে। ভালো পড়ালেখা করে বিসিএস ক্যাডার হবেন এই এমসি কলেজেরই শিক্ষার্থী। শিবির তার প্রত্যেকটা জনশক্তির পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করে। এসময় তিনি এমসি কলেজের সকল শিক্ষার্থীর পাশে সবসময় থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এমসি কলেজ ছাত্রশিবিরের ছাত্রাবাস শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাহান সাইফের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন মহানগর শিবিরের অফিস সম্পাদক মাসুদ আলম, এমসি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি নুরুল আলম, সাবেক সেক্রেটারি কাজী পারভেজ, সাবেক সভাপতি ইয়াছিন খান, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যপরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম, মহানগর শিবিরের মানবসম্পদ সম্পাদক ডা. তানভীর আহমদ মিয়াদ, এমসি কলেজ শিবিরের সেক্রেটারি জওহর লোকমান মুসান্না।শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এমসি কলেজ শিবিরের ছাত্রাবাস শাখার সভাপতি রুহুল ইসলাম।

এসময় বক্তারা বলেন, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সিট বরাদ্দ হবে মেধার ভিত্তিতে। আর কোনো দখলদারিত্ব মেনে নেওয়া হবে না। এই কার্যক্রম বহাল রাখতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে। যে ছাত্রাবাসে ছাত্ররা সিগারেট খায় না, সেখানে ছাত্রলীগ নেশার রাজ্য পরিণত করেছিল। ছাত্রলীগ ছাত্রাবাসে যেরকম অন্যায়-অপকর্ম আর নির্যাতন করেছে, তা আর কেউ করে নি। এই অবস্থা থেকে ছাত্রশিবির ছাত্রাবাসকে নানা সংস্কার করে উত্তরণ করে নিয়ে আসছে।

তারা আরও বলেন, নিজেদের স্বার্থে এমসি কলেজের ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেয় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। এই ঘটনার ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আজো কোনো বিচার হয়নি। এসময় তারা এর সুবিচার নিশ্চিতের দাবী জানান৷

সভাপতির বক্তব্যে এমসি কলেজ শিবিরের সভাপতি ইসমাঈল খান সৌরভ বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এমন একটি সমাজের স্বপ্ন দেখে, যেখানে আমাদের মা-বোনেরা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারবেন। যেখানে তারা কখনোই ভয় করবেন না। ইসলামী ছাত্রশিবির চায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি সুখ-সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গঠন করতে। আজকে আপনারা ছাত্রশিবিরের ডাকে যেভাবে সাড়া দিয়েছেন, ভবিষ্যতে ভালো কাজেও আশা করা যায় আপনারা পাশে থাকবেন