এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ট্রাম্প কার্ড হতে পারেন যারা

খেলাধুলা
দুয়ারে ২০২৫ এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি আসর। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট। চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এই মহাদেশীয় ক্রিকেট আসরে এ পর্যন্ত তিনবার (২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে) ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে একবারও শিরোপা জিততে পারেনি তারা।
এবার সেই আক্ষেপ ঘুচানোই লক্ষ্য থাকবে টাইগারদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এবারের এশিয়া কাপ হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ৮ দলের টুর্নামেন্টে ‘বি’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
তাদের প্রতিপক্ষ হংকং, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের এশিয়া কাপ মিশন। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা এবং ১৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
এরই মধ্যে এশিয়া কাপের জন্য ১৬ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। লিটন দাসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশ্রণ রয়েছে। তবে টুর্নামেন্টে সাফল্য নির্ভর করবে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সের ওপর।
যারা ম্যাচের গতি বদলে দিতে পারেন এবং খেলায় ফল নির্ধারণে ব্যাপক প্রভাব রাখতে পারেন। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের ট্রাম্প কার্ড হতে পারেন পাঁচ ক্রিকেটার। তারা হলেন: তানজিদ হাসান তামিম, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও অধিনায়ক লিটন কুমার।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের নতুন দিগন্ত সূচনা হচ্ছে ওপেনার তানজিদ তামিমের ব্যাটে। এই বাঁহাতি ব্যাটারের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং স্টাইল আর পাওয়ারপ্লেতে পাওয়ার হিটিংয়ের ক্ষমতা তাকে দলের ট্রাম্পকার্ড করে তুলছে।
চলতি বছরে ১১ ম্যাচে ৩১ গড়ে তার রান ৩১০। ১৫০.৪৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন তামিম। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণেই তামিম এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের ট্রাম্পকার্ড হতে পারেন।
অন্যদিকে, জাকের আলী মিডল অর্ডারে একজন শক্তিশালী ফিনিশার। তার স্ট্রাইক রেট ১৪৫-এর উপরে, যা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি চাপে শান্ত থেকে বড় শট খেলতে পারেন। আমিরাতের স্পিন-সহায়ক পিচে তার সুইপ এবং লফটেড কভার ড্রাইভ স্পিনারদের বিরুদ্ধে বেশ কার্যকর হতে পারে। এ ছাড়া ডেথ ওভারে বিস্ফোরক ব্যাটিং জাকেরের প্রতি প্রত্যাশা বাড়িয়েছে।
অপরদিকে, বর্তমানে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের প্রাণ বলা যায় রিশাদকে। এই লেগস্পিনার আরব আমিরাতের শুষ্ক পিচে বেশি কার্যকরি হতে পারেন। তার গুগলি এবং ফ্লিপার প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করতে পারে।
রিশাদ ভালো করলে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে নিঃসন্দেহে। তার অসামঞ্জস্যতা টিমের দুর্বলতা বাড়াতে পারে, কিন্তু ফর্মে থাকলে তিনি টুর্নামেন্টের সেরা বোলার হয়ে উঠতে পারেন।
আর মোস্তাফিজুর রহমান পেস আক্রমণের একজন পরীক্ষিত ‘অস্ত্র’। তার ইয়র্কার এবং স্লো-বল ভ্যারিয়েশন ও অভিজ্ঞতা এশিয়া কাপে ভিন্ন মাত্রা এনে দিতে পারে।
যদি তিনি ডেথ ওভারে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেন তাহলে বিপক্ষ টিমগুলোর চেজিং স্বপ্ন ভেঙে যাবে। তার ফিটনেস সমস্যা দূর হলে, তিনি বাংলাদেশকে ফাইনালে নিয়ে যেতে পারেন, যেটা করেছিলেন ২০১৬ সালের আসরে।
এদিকে অধিনায়ক লিটন টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বড় ট্রাম্পকার্ড হতে পারেন। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে তার নেতৃত্ব প্রমাণিত হয়েছে।
উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে লিটনের স্ট্রাইক রেট ১৩০-এর উপরে এবং তিনি মিডল অর্ডারে গেম-চেঞ্জার। আমিরাতের পিচে তার আক্রমণাত্মক স্টাইল বাংলাদেশকে দ্রুত স্কোর তৈরি করতে সাহায্য করবে।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *