
সারা দেশের সঙ্গে একযোগে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবার গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৭০ হাজার ৯১ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছেন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের হলরুমে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করে এই তথ্য প্রকাশ করেন।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় সর্বমোট পরিক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৩ হাজার ১৩ জন তারমধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ২১৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৭০ হাজার ৯১ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। যেখানে পাশের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুটোই কমেছে। এবার বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ কম। অন্যদিকে সিলেটে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬১৪ জন, যা আগের বছরের তুলনায় ১ হাজার ৮৫৭ জন কম।
অন্যদিকে, সিলেটে ৬০ হাজার ৪১৫ জন মেয়ে পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ৪১ হাজার ৪০৭ জন এবং ৪১ হাজার ৮০৪ জন ছেলে পরিক্ষার্থীর মধ্যে ২৮ হাজার ৬৮৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন মেয়েদের পাশের হার ৬৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং ছেলেদের পাশের হার ৬৮ দশমিক ৬২ শতাংশ।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ‘সব দিক বিবেচনা করে সার্বিক ফলাফলে আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট। যে সকল বিষয়ে দুর্বলতা রয়েছে সেই বিষয়গুলো কথা মাথায় রেখে ভবিষ্যতে উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সিলেটে এই বছর মানবিক বিভাগে শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্যের হার বেশি। গণিত ও ইংরেজিতে অনেক শিক্ষার্থী কৃতকার্য হতে না পারার জন্য সিলেটে পাসের হার কমে গেছে। দুর্গম হাওরাঞ্চল ও গ্রামের অনেক প্রতিষ্ঠানে মানসম্পন্ন গণিত ও ইংরেজি শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী প্রবণতা, অমনযোগিতা, এবং শিক্ষকদের সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবও খারাপ ফলাফলের অন্যতম কারণ।’
উল্লেখ্য, গত বছর সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ৪৭১ জন শিক্ষার্থী।
শেয়ার করুন