স্টাফ রিপোর্টার: শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি ফেল। নেই কোন ডাক্তারি প্রাতিষ্ঠানিক সনদ। তবুও ৩৫ বছর ধরে চেম্বার করে রোগী দেখছেন প্রতারক ওয়াদুদ। এমনকি ডেলিভারীর কাজও করেন তিনি। নামের সাথে বড় করে ‘ডাঃ’ লিখে উচ্চতর অভিজ্ঞতা হিসেবে ‘মেডিসিন, বক্ষব্যাধি, চর্ম যৌন মা ও শিশু, সার্জারী এবং ডেলিভারীতে অভিজ্ঞ’ লিখেছে। অথচ এই বিষয়ে কোন পড়াশোনাই নেই তার! এমন ধৃষ্টতার পরিচয় দিয়েছে ওয়াদুদ নামের ওই প্রতারক। সে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার রবিরবাজার এলাকার টিলাগাঁও রোডে নিয়মিত চেম্বার করে রোগী দেখতেন। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ। অবশেষে এই প্রতারককে ভ্রাম্যমান আদালত শুধুমাত্র ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছেন। এবং চেম্বার বন্ধ করেতে সতর্ক করেছেন ভ্রাম্যমান ম্যাসিস্ট্রেট। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে এ জরিমানা করে।
জানা যায়, এক সাংবাদিকের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষনিকভাবে পার্শ্ববর্তী ওয়াদুদের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার ওয়াদুদের গতিপ্রকৃতি দেখে সাংবাদিকের সন্দেহ হয়। আলাপচারিতায় এক পর্যায়ে ওয়াদুদ জানান, পড়াশোনা করে নয়, শুধুমাত্র দেখতে দেখতে ডাক্তার হয়েছেন তিনি। বেশ অভিজ্ঞাতাও রয়েছে তার। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানালে ভ্রাম্যমান আদালত যায় ওয়াদুদের চেম্বারে। এসএসসি ফেইল হয়ে কোন প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ছাড়াই স্বাস্থ্য সেবার
মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ প্রতারনার সাথে চালিয়ে যাওয়ার সত্যতা পায়। পরে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কুলাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট মো: মেহেদি হাসান বলেন, সম্পূর্ন প্রতারণা করে আসছে ওয়াদুদ। পল্লী চিকিৎসক লেখারও কোন যোগ্যতা নেই তার। এসএসসিও পাশ করেনি। তবুও বড় বড় ডিগ্রী ব্যবহার করে রোগী দেখার সত্যতা পাই আমরা।
এমনকি ভারত থেকে একটি কোর্সের কথা জানালে সেটার কোন সনদ দেখাতে পারেনি সে। এজন্য জরিমানা করা হয়েছে।
শেয়ার করুন