ওয়ালটন প্লাজা আম্বরখানা শাখার উদ্যোগে ডেঙ্গু সচেতনমূলক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান

জাতীয়

“মশার আবাস্থল ধ্বংস করি, মশা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে ওয়ালটন গ্রুপ এর পক্ষ থেকে সারাদেশ ব্যাপী কর্মসূচী ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ওয়ালটন প্লাজা আম্বরখানা শাখার উদ্যোগে ডেঙ্গু সচেতনমূলক র‌্যালী ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

সোমবার বেলা ১১টায় র‌্যালীটি নগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। পরবর্তীতে আম্বরখানা দরগা গেইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা হয়।

এছাড়া ছাত্র-ছাত্রী ও ওয়ালটনের কর্মকর্তারা স্কুল প্রাঙ্গণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ডেঙ্গু নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। লাক্কাতুরা চা বাগান, সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু বিষয়ক মানববন্ধন এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।

কার্যক্রমটি পরিচালনায় ছিলেন ওয়ালটন প্লাজা আম্বরখানা শাখার ব্যবস্থাপক কেশব দাস রাজা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রæপের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরুজ হায়দার খান, চিফ ডিভিশনাল ক্রেডিট অফিসার মাকসুদ আলম, আর.এস.এম মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, আর.সি.এম নাজমুল হোসেন অনিক, আম্বরখানা দরগা গেইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রিনা রানী কর্মকার, আম্বারখানা ব্যাবসায়ী সমিতির সহ-সম্পাদক জায়েদুর রহমান রিপন, আম্বরখানা শাখার ডেপুটি ম্যানেজার মোঃ সোহাগ আহমদ, ডেপুটি ম্যানেজার সৌরভ চৌধুরীসহ আম্বরখানা প্লাজার অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত এবং আতঙ্কের একটি নাম হচ্ছে ডেঙ্গু রোগ। যার প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনসচেতনতা কার্যক্রম। সারা দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও সচেতনতা সৃষ্টিতে আমাদের করণীয় হচ্ছে পাড়া-মহল্লায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার ধান কারণ হচ্ছে এডিস মশা। তাই মশা নিয়ন্ত্রণই হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে প্রকোপ কমানোর প্রধান উপায়। মশার প্রজনন ক্ষেত্র বা ডিম পাড়ার স্থান গুলোকে আগে ধ্বংস করতে হবে। বড় বড় ভবনের আশপাশে, কোণায় কোণায়, ডাস্টবিন ও এর আশপাশের স্থান, এমনকি ঘরের হাঁড়ি-পাতিল, বদনা এসব স্থানেও যেন চার-পাঁচ দিনের বেশি পানি জমে না থাকে, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। তাতে সহজে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *