ওসমানী মেডিকেল’র ভুয়া ছাড়পত্র দিয়ে প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সিলেট

ডেস্ক রিপোর্ট:সিলেটে জালিয়াতির মাধ্যমে হাসপাতালের ভুয়া ছাড়পত্র দিয়ে মামলা করে এক প্রবাসীকে হয়রানির গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওসমানী হাসপাতালের ছাড়পত্র জাল করার অভিযোগ উঠেছে জনপ্রতিনিধি এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গত ১৪ ডিসেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার ভাটেরা ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম সৈয়দ নজরুল ইসলাম। বাদী সৈয়দ নজরুল ইসলাম কুলাউড়ার মাইজ গাঁওয়ের সৈয়দ সাজিদ মিয়ার পুত্র এবং সিলেট নগরের ৬/এ মজুমদারপাড়ার বর্তমান বাসিন্দা।

অভিযোগে প্রকাশ, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম সিলেট নগরের শিবগঞ্জ সোনার পাড়ায় এসপি টাওয়ার নামে ৬তলা একটি আবাসিক ভবনের নির্মাতা। ভবন নির্মানে ফিনল্যানড প্রবাসী সাজ্জাদুর রহমান মুন্না পরিবারের ০.০২৮ একর ভূমি জবরদখল এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্মান কোড লংঘনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন প্রবাসী মুন্না ও তার পরিবার। এ নিয়ে আদালতে মামলা হলে ভবন নির্মানের উপর স্থিতাবস্থা জারি করা হয়েছে। আপত্তি ও মামলার জের ধরে একের পর এক ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে প্রবাসী সাজ্জাদুর রহমান মুন্নাকে হয়রানী করে চলেছেন।

জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম সৈয়দ নজরুল ইসলাম গত ১৪ ডিসেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে একটি সিআর মামলা করেন। যা’ শাহপরাণ সিআর ৩৯৭/২০২২। মামলায় স্থানীয় ফিনল্যান্ড প্রবাসী সাজ্জাদুর রহমান মুন্না-সহ জ্ঞাত অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামী করেন তিনি।

মামলায় তিনি এই মর্মে অভিযোগ করেন যে, মুন্না ও তার স্বজনরা গত ৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে তার নির্মনাধীন এসপি টাওয়ারের প্রহরী মোহাম্মদ দিলাল মিয়াকে মারধর করে গুরুত জখম করার পাশপাশি টওয়ারের র্নিমান সমগ্রীূ লুটে নেন মুন্না ও তার স্বজনরা। ঘটনার পরই আহত প্রহরী মো: দিলাল মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দিলাল মিয়া সিলেটে এম এজি ওসমানী হাসপাতালের ৯ নং ওয়ার্ডের এক্সটা ৩৬ নং বেডে থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ দিন চিকিৎসা নেন। ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম তার দায়েরী মামলার সাথে প্রহরী দিলাল মিয়ার নামে ওসমানী হাসপাতালের একটি ছাড়পত্রও যুক্ত করে দেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেট’কে নির্দেশ দেন।

তদন্তকালে পিবিআই সিলেট’র তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন ভিকটিম মোহাম্মদ দিলাল মিয়ার মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) চেয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ পরিচালক বরাবরে আবেদন করেন। গত ০৫ জানুয়ারির এ আবেদনের জবাবে বলা হয়, ৭ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে (নং-৯) মোহাম্মদ দিলাল মিয়া নামের কোনো রোগীই (জখমী) ভর্তি ছিলনা। এতে করে প্রতীয়মান হয়, চেয়ারম্যান এ কে এম সৈয়দ নজরুল ইসলাম কর্তৃক দায়েরী মামলার নথিতে মোহাম্মদ দিলাল মিয়া নামে মেডিকেলের যে ছাড়পত্র সংযুক্ত করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ জাল ও ভুয়া এহেন ভুয়া ছাড়পত্রকে খাটি বলে মামলা দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম সৈয়দ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলা হতে পারে বলে সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই সিলেট’র ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন দিলালের এমসি’র জন্য ওসমানীতে লেটার পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ইতোপূর্বেও একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে ফিনল্যান্ড প্রবাসী সাজ্জাদুর রহমান মুন্নাকে জেলখাটানোরও অভিযোগ রয়েেেছ । এ বিষয়ে গত ৫ জানুয়ারি সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানিয়েছেন প্রবাসী সাজ্জাদুর রহমান মুন্না।

বার্তা প্রেরক
সাজ্জাদুর রহমান মুন্না
01711735939

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *