সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাম্য ও সম্প্রীতির আদর্শ শীর্ষক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটি আগ্রহের জায়গা থেকে কাজ করছি। এই দায়িত্বে আসার আগে আমার অনেক আয় ছিল। এখন সেগুলো নেই। আমার জীবনের সোনালী অধ্যায় এই সময়, আমি রাষ্ট্রকে সেবা করছি।
তিনি বলেন, এখন হিউম্যান ল, হিউম্যান রাইটসসহ কত আইন তৈরি হয়েছে বিশ্বে। কিন্ত ১৪০০ বছর আগে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করছেন, সব মানুষ সমান, কোনো বৈষম্য করা যাবে না। তিনি আমাদের জন্য উত্তম চারিত্রিক নিদর্শন রেখে গেছেন। হিউম্যান রাইটস নিশ্চিত করেছেন আমাদের প্রিয় নবী।
তিনি আরও বলেন, অনেক দার্শনিক সুন্দর কথা বলে গেছেন। কিন্তু একমাত্র রাসূল (সা.) যা বলেছেন, তা প্র্যাকটিক্যালি করে দেখিয়েছেন। আমরা যদি রাসুলের আদর্শ মেনে চলি, মুদ্রা পাচার লুটপাট হবে না। আমরা সবাই বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখি। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর। আমরা অর্থনৈতিক ও নির্বাচন বিষয়ে সংস্কার করে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে, কিছু সংস্কার সূচনা করে… টেকসই অর্থনৈতিক সংস্কার, একটু সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দেব। সে নির্বাচনে প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারবে। যারা নির্বাচিত হবেন, তাদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে বিদায় নেব। মানুষ এত বছর তো ভোট দিতে পারেনি।
খালিদ হাসান বলেন, বিশ্বনবী যুদ্ধের ময়দানে সতর্ক করে দিতেন, কোনো নারী-শিশু যেন মারা না যায়। তিনি ঘোষণা দিতেন, খ্রিষ্টান, মন্দির এবং কোনো স্থাপনায় যেন হামলা না হয়। নারীর কোনো মর্যাদা ছিল না। তিনি এসেই ঘোষণা দিয়েছেন, মায়ের পদতলে জান্নাত। তার আদর্শ আমরা লালন ও পালন করব। অনেক ব্যক্তি আছে, যাদের দাড়ি, টুপিসহ সুন্নতি পোশাক রয়েছে। অথচ তারা লুটপাট-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এটা আমাদের জন্য অ্যালার্মিং। মোহাম্মদ (সা.) বলে গেছেন, হারাম এক ফোঁটা রক্ত, কিংবা মাংস জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
তিনি বলেন, ইসলামী লেবাস ধারণ করলে তা প্র্যাকটিক্যালি পালন করতে হবে। লেবাস এক রকম, আবার কর্মকাণ্ড ভিন্নরকম, এই বৈপরীত্য আমাদের জন্য ক্ষতিকর।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোরসালিন নোমানী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ ও সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ।