অনুমোদনহীন ‘লেমন রিচ লিচি ব্লু ইলেকট্রোলাইট ড্রিংক’- বাজারজাত করার দায়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসান ওরফে ‘রাফসান দ্য ছোট ভাই’-এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলাউল আকবর রাফসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ও প্রসিকিউটিং অফিসার মো. কামরুল হাসানের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৪ জুন আদালত এই পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে পণ্য প্যাকেজিং সার্টিফিকেট ছাড়া ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বিক্রি করায় ইফতেখার রাফসানের মালিকানাধীন ব্লু ড্রিংককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
গত ২৪ এপ্রিল কুমিল্লায় কোম্পানির কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিএসটিআই এ জরিমানা আরোপ করে। তবে পরে ১৭ মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি জানাজানি হয়।
গত মাসে অনুমোদন ছাড়াই পাঁচ ধরনের ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বিক্রির অভিযোগে সাতটি কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। একমি ও এসএমসি-এর এসএমসি প্লাস, প্রাণ-এর অ্যাক্টিভ, ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেড-এর ব্রুভানা, দেশবন্ধু ও আগামী’র রিচার্জ এবং আকিজ-এর টার্বো নিষিদ্ধ চেয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ১৪ মে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলাটি করেন।
কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা তখন বলছিলেন, ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বাজারে সরবরাহের আগে বিএসটিআই-এর কাছে অনুমোদনের জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে সংস্থাটির ক্যাটাগরিতে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস না থাকায় অনুমোদন দেওয়া যায়নি।
অনুমোদনের বিষয়ে বিএসটিআই-এর উপপরিচালক মো. রিয়াজুল হক ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়ের জন্য এখনও কোনো ক্যাটাগরি না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ‘ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বাধ্যতামূলক পণ্যের আওতায় পড়ে না। এ কারণে আমরা অনুমোদন দিতে পারিনি। কিন্তু যেহেতু বিভিন্ন দেশে এর ব্যবহার রয়েছে, আমরা মান তৈরির বিষয়ে আলোচনা করছি। তারপর অনুমোদন দেওয়া যাবে।’
শেয়ার করুন