করোনাভাইরাস মহামারী এখনো শেষ হয়নি বরং এটি পরিবর্তিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বে করোনার সংক্রমণ বেড়ে চলেছে এবং বিশ্বের ১১০টি দেশে এর সংক্রমণ বাড়ার তথ্য দিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)
বুধবার (২৯ জুন) সংস্থাটি পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোভিড-১৯ মহামারী পরিবর্তন হচ্ছে, এটি এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বৃহস্পতিবার এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা এএনআই।ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, করোনা নিয়ে গবেষণা হুমকির মুখে পড়েছে। কারণ, করোনার জিনোম সিকোয়েন্স কমে গেছে। ফলে ওমিক্রন ও ভবিষ্যতের করোনার আরো ধরনগুলো চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
গেব্রেয়াসুস বলেন, করোনা অনেক জায়গায় বিএ.৪ ও বিএ.৫-তে রূপ নিয়েছে। ১১০টি দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। পরিখ্যান অনুযায়ী সারা বিশ্বে করোনার সংক্রমণ ২০ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছয়টি অঞ্চলের মধ্যে তিনটিতে মৃত্যু বেড়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে বিশ্বে মৃত্যুহার স্থিতিশীল আছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিএ.৪ ও বিএ.৫ ভ্যারিয়েন্টের কারণেই বিশ্বের ১১০টি দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা বিশ্বেই সংক্রমণ ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিক হিসাবে মৃত্যুহার এখনো তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে থাকা ৬টি অঞ্চলের মধ্যে তিনটিতেই মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।’করোনা ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ইস্যুতে গণমাধ্যমে দেয়া ব্রিফিংয়ে গেব্রেয়াসুস কমপক্ষে ৭০ শতাংশ জনগণকে টিকা দিতে সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান। গত দেড় বছরে বিশ্বব্যাপী ১ হাজার ২০০ কোটিরও বেশি টিকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডব্লিউএইচওর প্রধান বলেন, নিম্ন আয়ের দেশগুলোর কয়েক লাখ মানুষ, হাজারো স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা টিকার বাইরে রয়েছেন। এর অর্থ হলো, তারা করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।গেব্রেয়াসুস জানান, বিশ্বের মাত্র ৫৮ শতাংশ দেশ ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোর এই লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। রুয়ান্ডার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় টিকা নেয়ার হার ৬৫ শতাংশের নিচে।
শেয়ার করুন