কলেজে ছাত্রী সোনিয়া হত্যা: মামাতো ভাই সজিবকে রিমান্ডে চায় পুলিশ

সিলেট

সিলেটে কলেজ ছাত্রী সোনিয়া বেগম (২০) হত্যার মামলার একমাত্র আসামি মো. সজিব আহমদকে (২৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। সজিব নিহত সোনিয়ার মামাতো ভাই। তিনি হবিগঞ্জ জেলার আজমেরীগঞ্জ উপজেলার শরীফনগর গ্রামের মো. নুরুদ্দিনের ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে সজিবকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানান র‍্যাব-৯। সোমবার রাত পৌনে ৯র দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আটকের পর মঙ্গলবার র‍্যাব তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সজিবকে আদালতে তোলা হয় সজিবকে। আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ডর আবেদন করা হয়েছে।

রিমান্ড চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, আজ সোনিয়া আক্তার হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত মো. সজিব আহমদকে আদালতে তোলে তাকে রিমান্ডের নেয়ার আবেদন করা হয়েছে। আদালত কি সিদ্ধান্ত দেন তা পরে জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার দুপুরে সিলেট নগরের শেখঘাট খুলিয়াটুলা আবাসিক এলাকার নীলিমা-১৪ নম্বর বাসা থেকে সোনিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কলাছড়া গ্রামের বিল্লাল আহমদের মেয়ে ও দক্ষিণ সুরমার নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী। তিনি মা ও সৎ বাবার সঙ্গে ওই বাসার ৪র্থ তলায় থাকতেন। সোনিয়া সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার নাটকে অভিনয় করতেন।

পারিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের আগের রাতে সোনিয়াদের বাসায় রাত্রিযাপন করে তার মামাতো ভাই সজিব আহমদ। রবিবার সকালে সোনিয়া পরিবারের সদস্যদের সাথে নাস্তা করেন। এরপর পরিবারের অন্য সদস্যরা সোনিয়ার সৎ বাবা সেলিম মিয়াকে দেখতে হাসপাতালে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর সজিবও বাসা থেকে বের হয়ে যান।

দুপুর ১২টার দিকে সাড়াশব্দ না পেয়ে সোনিয়ার ভাবি তাকে ডাকতে যান। এসময় রুমে ঢুকে তিনি সোনিয়ার গলাকাটা লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং রুমের ভেতর থেকে কাপড় কাটার একটি রক্তমাখা কাঁচি জব্দ করে।

সোনিয়ার পরিবারের প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে- এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সজিব জড়িত। পুলিশের সন্দেহেও ছিলেন সজিব। ঘটনার পর থেকে সজিব গা ঢাকা দেন।

মঙ্গলবার দুপুরেই নিহত সোনিয়ার বড় ভাই পারভেজ আহমদ বাদী হয়ে সজিবকে প্রধান আসামী করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি র‍্যাব-৯-ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *