কাঁদছেন পূজা চেরী, যে আশঙ্কা করছেন মা

বিনোদন

সুপার স্টার শাকিব খানের সঙ্গে পূজা চেরীর প্রেমের গুঞ্জনে তোলপাড় ঢালিউড। এটাও শোনা যাচ্ছে- তার কারণে নাকি শাকিব খান ও শবনম বুবলীর সম্পর্কে চিড় ধরেছে। বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত এই নায়িকা। পূজা জানিয়েছেন- যারা এ ধরনের গুজব রটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

এদিকে এমন পরিস্থিতিতে মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন পূজা চেরীর মা ঝর্ণা রায়। তিনি বলেন, পূজা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। ওকে এখন একা রাখতেও আমাদের ভয় লাগে। কখন কী করে বসে। দয়া করে আমার মেয়েটাকে নিয়ে বাজে কথা লিখবেন না। মা হয়ে আমি সবাইকে অনুরোধ করছি।

ঝর্ণা রায় বলেন, যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। আমরা এই ভয়েই আছি। আমি মা হয়ে সারাক্ষণ ওর পাশে আছি। বিশ্বাস করেন, প্রেম-বিয়ে এগুলো সব মিথ্যা। মানুষ এভাবে মিথ্যা কথা বলে কী মজা পাচ্ছে? এসব সংবাদের কারণে আমাদের কী অবস্থা- কেউ কি একবার চিন্তা করেছেন?

তিনি আরো বলেন, সবার কাছে হাতজোড় করে বলি, আমার মেয়েটা ছোট। দয়া করে আমার মেয়েটাকে বাঁচতে দিন। মানুষ যেভাবে ওকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে, তাতে ওর মানসিক অবস্থা খুব খারাপ। আমার মেয়েটা ছোট, সারাক্ষণ শুধু কান্না করছে। আমরা তাকে সারাক্ষণ বোঝানোর চেষ্টা করছি কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। কোনোভাবেই ওর মন ভালো করতে পারছি না। এসব কারণে পরিবারের অন্যরাও ভালো নেই।

এর আগে, গুঞ্জন নিয়ে পূজা তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, কদিন ধরে খেয়াল করছি আরেকজনের ব্যক্তিগত জীবনে আমার নাম জড়িয়ে বিভিন্ন মিথ্যে গুঞ্জন সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফেসবুকের ব্যক্তিগত আইডি-পেইজ থেকে পোস্ট কিংবা ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে টানা হচ্ছে। শুরু থেকে বিষয়টিকে আমি এড়িয়ে গিয়েছি। কারণ, এসবের সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই- যতটুকু আছে শিল্পী হিসেবে শুধুই প্রফেশনাল।

ক্ষোভ প্রকাশ করে পূজা লিখেছেন, যারা আমাকে নিয়ে মিথ্যে গুঞ্জন ছড়াচ্ছেন তাদের কয়েকজন আবার দায়িত্বশীল পদে থেকেও এই কাজটি করছেন। কোনো সত্য মিথ্যা যাচাই-বাছাই ছাড়া এবং আমার স্টেটমেন্ট ছাড়া আমার নাম জড়িয়ে যদি আগামীতে মিথ্যে গুঞ্জন রটানো হয়, আমি স্পষ্ট করে জানাচ্ছি- দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। কারণ আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সবার আশীর্বাদ কামনা করি, সবার মঙ্গল ও শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *