কাতারে বহু সংস্কৃতির মিলনে মুগ্ধ মিস ক্রোয়েশিয়া

বিনোদন

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপের রেশ কাটেনি এখনও। কাতারের বৈচিত্রময় আয়োজনে মুগ্ধ হয়েছেন সারা বিশ্ব থেকে যাওয়া অগণিত ফুটবলপ্রেমী। এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে ‘সেক্সি ফ্যান’ আখ্যা পাওয়া সাবেক মিস ক্রোয়েশিয়া ইভানা নোলও প্রশংসার ঝাঁপি খুলেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির জন্য।

বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দ্যুতি ছড়িয়ে আলোচনায় আসেন মিস ক্রোয়েশিয়া। পোশাক নিয়ে কাতার সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও তার স্বল্পবসন উপস্থিতি মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। শুধু ক্রোয়েশিয়া বনাম ব্রাজিলের হাই ভোল্টেজ ম্যাচের দিনে স্টেডিয়ামে স্বল্পবসনের কারণে নিরাপত্তা কর্মীদের কিছুটা বাধার মুখে পরেন নোল। বাকি দিনগুলো নির্বিবাদে কাটিয়েছেন মিস ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপের এই কয়দিনে অসংখ্য কাতারির মনযোগও কেড়েছেন তিনি।

 

নিজের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন নোল। এতে দেখা যায় স্টেডিয়াম ও স্টেডিয়ামের বাইরে বিভিন্ন দেশের ভক্তরা তার সঙ্গে সেলফি তুলছেন। দুটি ছবিতে কাতারের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা দর্শকদের সঙ্গেও তাকে সহাস্যে দেখা গেছে।

একটি ছবির ক্যাপশনে কাতারের ভূয়সী প্রসংশা করে নোল লেখেন, ‘ধন্যবাদ কাতার! এটা ছিল সেরা বিশ্বকাপ! আমার মন ভরে গেছে এবং আমি খুব গর্বিত যে, আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি, আমরা সবাই একে অপরের সংস্কৃতি, ধর্ম এবং জীবনযাপনকে গ্রহণ করছি! এতগুলো দেশ এক জায়গায়, বড় এক বিশ্বকাপ পরিবার! তোমাকে ভালোবাসি- শিগগিরই দেখা হবে কাতার।’

এর আগে সোমবার লাল গাউনে খোলা পায়ে পার্টি মুডের ছবি পোস্ট করে নোল লেখেন, ‘সুন্দর দেশ কাতারকে ধন্যবাদ, একটি মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে আমাকে স্বাগত জানানোর জন্য!’

এবারের আয়োজনে তৃতীয় স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে নোলের নিজ দেশ ক্রোয়েশিয়াকে। তবে তা নিয়ে এখন আর আক্ষেপ নেই তার। ভালোবাসা জানিয়েছেন ক্রোয়েশিয়া জাতীয় দলের অধিনায়ককে লুকা মডরিচকে। বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান নির্ধারণে ক্রোয়েশিয়া ও মরক্কোর ম্যাচের দিনেও মাঠে উপস্থিত ছিলেন নোল।

 

এই ম্যাচের আগে নোল ইনস্টাগ্রামে মডরিচ লেখা জার্সির আদলে টপ ও আঁটসাঁট লাল লেগিংস পরে একটি ছবি পোস্ট করেন। এর ক্যাপশনে ক্রোয়েশিয়া জাতীয় দলের অধিনায়কের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘ধন্যবাদ অধিনায়ক আমাদের গর্বিত করার জন্য, চলো মেডেল নিতে যাই।’ কাতারে যাওয়ার পর রীতিমতো সুপারস্টারে পরিণত হন ইভানা নোল। ইনস্টাগ্রামে হু হু করে বাড়তে থাকে তার ফলোয়ার। বিশ্বকাপের আগে ইনস্টায় নোলের ফলোয়ার ছিল মাত্র ৫ লাখ ৭০ হাজার। দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ শেষে তা বেড়ে পৌঁছেছে ৩৫ লাখে।

বিশ্বব্যাপী মানুষের এই বিপুল ভালোবাসায় অভিভূত নোল বলছেন, তার দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় সমানসংখ্যক মানুষ এখন তাকে ইনস্টাগ্রামে অনুসরণ করছেন। সব মিলিয়ে দারুণ এক অনুভূতির জন্ম দিয়েছে কাতার বিশ্বকাপ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *