আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপে দেশ-বিদেশের ভক্ত-সমর্থকদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরব আমিরাত ও গালফ ক্যারিয়ারস বিমান কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি নিজেদের বহরে ফ্লাইটের সংখ্যাও বাড়ানো হবে জানিয়েছে তারা।
বিশ্বকাপের এক মাস অন্য সময়ের চেয়ে কম ভাড়ায় কাতারের রাজধানী দোহায় যেতে পারবেন দর্শকরা। আগামী ২০ নভেম্বরের দুবাই থেকে দোহার বিমান ভাড়া এখন ১৭০০ দিরহামের কিছু বেশি ধরা হয়েছে। যা বর্তমানে প্রায় ২২০০ দিরহামের কাছাকাছি।
এছাড়া আবুধাবি থেকে দোহা যেতে বিমানে গুনতে হবে এক হাজার থেকে ছয় হাজার দিরহাম। রিয়াদ ও জেদ্দা থেকে বিমান ভাড়া পড়বে ১৪০০ দিরহামের কাছাকাছি। আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে জানা গেছে এই খবর।
গালফ ক্যারিয়ারের মধ্যে সবশেষ এয়ারলাইন্স হিসেবে বিশ্বকাপের সময় বাড়তি ফ্লাইট চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ার এরাবিয়া। বিশ্বকাপ চলাকালীন প্রতিদিন শারজাহ থেকে দোহায় ১৪টি শাটল ফ্লাইট পরিচালনা করবে তুলনামূলক কম খরচের এই এয়ারলাইন্স।
ইতিহাদ এয়ারওয়েজ বিশ্বকাপ চলাকালীন প্রতি সপ্তাহে আবুধাবি থেকে দোহায় ৪২টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। যেখানে বর্তমানে তারা এই রুটে সপ্তাহে মাত্র ১৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। পুরো আসরজুড়ে প্রায় ১২ লাখ বিদেশি দর্শক কাতারে যাবেন খেলা দেখতে।
মাসদুয়েক আগেও মিডল ইস্ট থেকে দোহার বিমানভাড়া ছিল ৭ হাজার দিরহামেরও বেশি। তবে এখন বদলে গেছে সেই পরিস্থিতি। ফ্লাই দুবাই ও সৌদিয়া কর্তৃপক্ষ মাসব্যাপী এই আসরের জন্য শাটল ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে।
গালফ ক্যারিয়ারের বাইরে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সও (পিআইএ) বিশ্বকাপের জন্য বাড়তি ফ্লাইট চালানোর সুযোগটি নিতে চাচ্ছে। তারা জুলাই থেকেই করাচি ও লাহোর থেকে দোহার কানেক্টিং ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
ফ্লাই দুবাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ম্যাচের দিন শাটল ফ্লাইতে ভ্রমণের জন্য ইকোনমি ক্লাসে ন্যুনতম ৯৫০ দিরহাম ও বিজনেস ক্লাসে ন্যুনতম ৩৬৬৫ দিরহাম দিয়ে আসন নিশ্চিত করতে হবে। এই টিকিটের মূল্যের সঙ্গেই হালকা খাবারের ব্যবস্থা করবে ফ্লাই দুবাই।
তবে এসব শাটল ফ্লাইটে কোনো ব্যাগেজ ক্যারিয়ার থাকবে না। অর্থাৎ ভ্রমণকারীদের নিজেদের হাত ব্যাগেই সব বহন করতে হবে। এক্ষেত্রে ইকোনমি ক্লাসে একজন সর্বোচ্চ ৭ কেজি ও বিজনেস ক্লাসে সর্বোচ্চ ১৪ কেজি নিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন।
শাটল ফ্লাইটে ভ্রমণের জন্য অবশ্যই বিশ্বকাপের ম্যাচের টিকিটধারী হতে হবে। পাশাপাশি বিশ্বকাপের ফ্যান আইডি হায়া কার্ডও সংগ্রহে রাখতে হবে। এই হায়া কার্ড দেখিয়েই কাতারে এবং স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে হবে। আগামী ২১ নভেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টার থেকে সব শাটল ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
শেয়ার করুন