বগুড়া কারাগারে এক মাসে আওয়ামী লীগের চার নেতার মৃত্যু হয়েছে।মৃত আওয়ামী লীগ নেতারা ‘নাশকতা’ ও ‘হত্যা’ মামলার আসামি ছিলেন। গ্রেফতারের পর কারাগারে থাকাবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, আওয়ামী লীগের এসব নেতা আগে থেকেই বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত ‘হার্ট অ্যাটাক’ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে।
জানা গেছে, ১১ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা যান চারজন আওয়ামী লীগ নেতা। তারা হলেন বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রতন, শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ আব্দুল লতিফ, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত আলম ঝুনু এবং গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য আব্দুল মতিন মিঠু।
মৃত নেতাদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়নি এবং দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়নি, যার ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
তবে বগুড়া জেলা কারাগারের জেল সুপার ফারুক আহমেদ দাবি করেছেন, যারা মারা গেছেন, তারা বয়স্ক ছিলেন এবং কারাগারে আসার আগেই তারা অসুস্থ ছিলেন। কারাগারে তাদের প্রতি কোনো অবহেলা হয়নি, এবং কারাগারের পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক ভালো।
বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানিয়েছেন, কারাগারে চারজনের মৃত্যুর সঠিক কারণ আমি জানি না। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
তবে এক মাসে চারজন কারাবন্দীর মৃত্যু হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদি কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে আসামিদের মৃত্যু হয়ে থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান জেড আই খান পান্না বলেন, কারাগারেই হোক আর পুলিশ হেফাজতে হোক- এ ধরনের মৃত্যুর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।
মানবাধিকার সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, এই বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত কারাগারে হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের। এদের মধ্যে বিচারাধীন বন্দি ছিলেন ৩৯ জন। আর সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন ২৩ জন।
শেয়ার করুন