
অন্যদিকে সিলেট-৪ আসন নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে। খনিজ সম্পদে ভরপূর এই আসনটিতে ধানের শীষ কার হাতে উঠছে সেই আলোচনা এখন সবার মুখেমুখে। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাচ্ছেন অন্তত ৫ জন। তবে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন বিএনপির দুই উপদেষ্টা। একজন দলের চেয়ারপর্সনের উপদেষ্টা সিলেট সিটির সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। অন্যজন হচ্ছেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুল হাকিম চৌধুরী। তারা দুজনেই বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।সূত্রের খবর এ আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন চেয়ারপর্সনের উপদেষ্টা সিলেট সিটির সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। দলের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ পেয়েই তিনি মাঠে কাজ করছেন। সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির হাইকমান্ডের সাথে বৈঠকের পর আরিফুল হক চৌধুরীও গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তিনি সিলেট-৪ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে প্রার্থী হতে নির্দেশনা দিয়েছেন। দলের সিদ্ধান্তেই তিনি প্রার্থী হচ্ছেন।
অবশ্য বিষয়টি মানতে নারাজ অন্য প্রার্থীরা। তারা বলছেন দল এখনো কাউকে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তারা তার পক্ষে কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন
এদিকে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে বিএনপির কাছে এই আসনটিও চাচ্ছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। জোট হলে এই আসনটিও শেষ পর্যন্ত জমিয়তকে ছেড়ে দেবে বিএনপি। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামে ইসলামের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী মাঠে নির্বাচনী তৎপরতা চালাচ্ছেন। সম্প্রতি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল হাসান আফেন্দী একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে জানিয়েছে তার দল সিলেট-৪, সিলেট-৫ এবং সিলেট-৬ আসন জোটসঙ্গী বিএনপির কাছে চেয়েছে। এই তিনটি আসনে জমিয়ত ছাড় দিতে নারাজ বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে আরিফুল হক চৌধুরী নিজের প্রার্থীতা ঘোষণার পরপরই বিএনপিতে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বিএনপিতে প্রকাশ্যে দুটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। একটি অংশ আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে অন্যটি আব্দুল হাকিম চৌধুরীর পক্ষে কাজ করছে ।
আব্দুল হাকিম বলয়ের নেতাদের দাবি এ আসনে তারা স্থানীয় প্রার্থী চান। বাইরের কাউকে প্রার্থী করা হলে তারা সেটি মানবে না। বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিনই তারা মিছিল, সমাবেশ-মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করছেন। আরিফুল হক চৌধুরীর অনুসারিরা বলছেন আরিফুল হক চৌধুরী প্রবীণ রাজনীতিবীদ। তিনি পরপর টানা দুইবার সিলেট সিটি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। সব মহলে তার গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। পিছিয়ে পড়া এই জনপদে উন্নয়নের জন্য তার প্রয়োজন রয়েছে। দল সেটি অনুধাবন করতে পেয়ে তাকে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছে। ধানের শীষ পেলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।
এ বিষয়ে বিএপির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জিকে গউছ বলেন, ‘সিলেট-৪ অসন নিয়ে এখনও পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে তিনি কোনো বার্তা পাননি। দল কাউকে মনোনয়ন দিলে অবশ্যই সেটা চিঠি দিয়ে জানানো হবে।’
আরিফুল হক চৌধুরী প্রার্থীতা ঘোষণা নিয়ে জিকে গউছ বলেন,‘ আরিফুল হক চৌধুরী প্রবীণ নেতা। তিনি দলের কাছে মনোনয়ন চাইতেই পারেন। এখন দল যদি তাকে ব্যক্তিগতভাবে কোনো সিগন্যাল দিয়ে থাকে সেটি আমার জানা নেই।’
জানতে চাইলে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তিনি মাঠে কাজ করছেন। সময়মতো সবকিছু পরিষ্কার হবে বলে জানান তিনি।’
অন্যদিকে আব্দুল হাকিম চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘তিনি দীর্ঘদিন থেকে মাঠে কাজ করছেন। বিএনপির তৃণমূল তাকে প্রার্থী করেছে। স্থানীয় জনসাধারণও তাকে চাচ্ছে। দল তাকে মুল্যায়ন করবে বলে তিনি আশাবাদী।’
প্রধান সম্পাদকঃ সারওয়ার খান
সম্পাদকঃ জাকের খান (রুবেল)
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫