কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে সোমবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক

জাতীয়

কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল আহমদ আল জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুতে সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ‘সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু কুয়েতের মহামান্য আমির শেখ নওয়াফ আল আহমদ আল জাবের আল-সাবাহর ইন্তেকালে ১৮ ডিসেম্বর সোমবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।’

এ উপলক্ষে আগামী ১৮ ডিসেম্বর (সোমবার) বাংলাদেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

এছাড়া কুয়েতের আমিরের রুহের মাগফেরাতের কামনায় আগামী সোমবার বাংলাদেশের সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তার আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল আহমদ আল জাবের মারা যান। শেখ নওয়াফ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কুয়েতের আমির হিসেবে শপথ নেন। এর আগে তার ভাই শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ দেশটির আমির ছিলেন। তিনি ৯১ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে মারা যান। তারপর নওয়াফ কুয়েতের আমির হোন।

শেখ নওয়াফ ৫৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে কুয়েতের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৬২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ২৫ বছর বয়সে তিনি হাওয়ালির গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯ মার্চ ১৯৭৮ পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৮৮ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। উপসাগরীয় যুদ্ধে কুয়েতের স্বাধীনতার পর শেখ নওয়াফ ১৯৯১ সালের ২০ এপ্রিল শ্রম ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯৯২ সালের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৪ সালের ১৬ অক্টোবর শেখ নওয়াফ কুয়েত ন্যাশনাল গার্ডের উপপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০০৩ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। একই বছর শেখ নওয়াফ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পুনরায় গ্রহণ করেন যতক্ষণ না ২০০৩ সালের ১৬ অক্টোবর আমিরি ডিক্রি জারি করা হয়। তখন তাকে কুয়েতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। উপসাগরীয় ও আরব দেশগুলোর আরব রাষ্ট্রসমূহের সহযোগিতা কাউন্সিলের মধ্যে জাতীয় ঐক্যকে সমর্থন কারী কর্মসূচিকে সমর্থন করতে শেখ নওয়াফ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *