কুলাউড়ার ভূকশিমইল ইউনিয়নে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

মৌলভীবাজার

” কুলাউড়ার দুই প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ“ শিরোনামে প্রকাশিত দৈনিক যুগান্তরে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে । তার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ২ নং ভূকশিমইল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ খসরুজ্জামান।

আজ দুপুর ১ঃ০০ ঘঠিকায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইউ পি সদস্য খসরুজ্জামান তার উপর আনিত সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করে করেন।

তার এই সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।

কুলাউড়ার দুই প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এই শিরোনামে গত ১৯শে আগস্ট ২০২২ইং ‘‘দৈনিক যুগান্তর’’ সহ কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল সংসাদ প্রকাশিত হয়। যা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যাৎ, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
‘‘দৈনিক যুগান্তর’’ সংবাদটি প্রকাশের পূর্বে আমার কোন বক্তব্য নেয় নি। তা খুবই দুঃখ জনক। ‘‘দৈনিক যুগান্তর’’ প্রকাশিত মিথ্যাৎ সংবাদের জন্য ক্ষমা না চাইলে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্হা নিবো।

ভূকশিমইল দারুল উলুম মাদরাসা সংলগ্ন রাস্তা নামে কোন প্রকল্প আমার এলাকায় নেই। এতেই প্রমাণিত হয় যে, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তারা।

এমন সংবাদ প্রকাশের মূল কারণ হয়েছে ।স্হানীয় বাসিন্দা মো: আমিন মিয়া, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় অবৈধভাবে ক্রেন/মাটি কাঠার গাড়ী দিয়ে সরকারি জমি থেকে মাটি কেটে তা বিক্রি করে আসছেন। আমি বিগত ইউ.পি নির্বাচনে নির্বাচিত হলে তিনি আমার কাছ থেকে ভূকশিমইল কওমি মাদ্রাসা পাশের রাস্তায় মাটি কেটে দেবেন বলে অগ্রীম ২ লক্ষ টাকা নেন এবং পরবর্তীতে বঠর তল ব্রিজের মাটি কেটে দেবেন বলে সে আমার কাছ থেকে আরোও ২ লক্ষ টাকা নেন এবং সর্বশেষ আর ১ লক্ষ টাকা নেন যার চক্ষুস স্বাক্ষী উনার আপন বোনের জামাই এবং এলাকার বিজ্ঞজন। পরবর্তীতে আমার মাটি কেটে না দেওয়ায় আমি আমার পাওনা টাকা ফেরৎ চাইলে তিনি আমাকে হুমকি দামকি দিতে শুরু করেন।

আমি এক পর্যায়ে সামাজিক সালিসের দ্বার¯’ হলে তিনি আমার উপর আর বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং উনার অবৈধ কাজের প্রতিবাদ করলে উনি আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেন।

উনি এবং উনার আরেক সহযোগী (মাস্টার মাইন্ড) জনাব আজমল আলীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে ধরনা দিতে থাকেন। এবং তিনি এক পর্যায়ে বড় অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আমার বিরোদ্ধে মিথ্যাৎ সংবাদ প্রকাশ করেন।

খাদ্য বান্ধব চালের কর্মসূচী এর চালের ডিলার মো: আমিন মিয়া যার পরিচালনা করেন তার আরেক সহযোগী জনাব আজমল আলী। তিনি খাদ্য বান্ধবের চালের ৩০ কেজির বস্তা দেবার কথা থাকলেও তিনি সবগুলো বস্তা একত্রে খুলে মানুষকে ২০/২৫ কেজি করে দেন। যা এলাকার সবারই জানা।

এবং আমি এসবের প্রতিবাদ করলে এবং আমার পাওনা টাকা ফেরৎ চাওয়াতে তারা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করে।

এ সময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্হিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *