কোহলির স্বস্তির শতকে ভর করে ভারতের রাজসিক জয়

খেলাধুলা

 

দুবাইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নামে ভারত। নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বিশ্রামে থাকায় দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাহুল। বিরাট কোহলিকে নিয়ে রাহুল ওপেনিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে এনে দেন ১১৯ রান। রাহুল অর্ধশতক হাঁকিয়ে ফিরলেও কোহলি তুলে নেন কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি।

এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে না পারলেও রাজসিক জয়ে এশিয়া কাপ মিশন শেষ করেছে ভারত। দুবাইয়ে একপেশে লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে ১০১ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বাধীন দল। ১০২০ দিন পর পাওয়া শতকে বিরাট কোহলি পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।

দুবাইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নামে ভারত। নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বিশ্রামে থাকায় দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাহুল। বিরাট কোহলিকে নিয়ে রাহুল ওপেনিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে এনে দেন ১১৯ রান।

দুজনের ৭৬ বলের জুটি ভাঙে দলীয় ১১৯ রানে। প্রথম ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৪১ বলে ৬২ রান করেন রাহুল। ভারত তখনই বড় সংগ্রহের আভাস পাচ্ছিল। কোহলি আফগান বোলারদের ওপর চড়াও হলে রানের পাহাড় জড়ো করতে সক্ষম হয় দলটি।

আড়াই বছরেরও বেশি সময় পর শতকের দেখা পান কোহলি। ৬১ বলে ১২টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়ে ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস তো বটেই, ভারতের হয়েও টি-টোয়েন্টিতে এটা সর্বোচ্চ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস। ইতিহাস গড়ার দিনে কোহলি তার খরা কাটিয়ে পেয়ে যান ৭১তম সেঞ্চুরি।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১২ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে। ইবরাহিম জাদরান একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অপর প্রান্তে ২১ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন ৬ ব্যাটার।

শেষদিকে দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান। ইবরাহিমকে সঙ্গ দিয়ে রশিদ ১৫ ও মুজিব ১৮ রান করেন। শেষপর্যন্ত লড়েছেন শুধু ইবরাহিমই। ৫৯ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে আফগানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১১ রান। ভারত পায় ১০১ রানের বিশাল জয়। ভারতের পক্ষে ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে মাত্র ৪ রানের খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *