ফারুক আহমদ
স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে অন্যান্য মেয়র প্রার্থীরা ১৮ অক্টোবর প্রতিক বরাদ্দ পেয়ে মাঠে নামলেও হলফনামায় সাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতায় আটকা পড়েন আনজুমানে আল-ইসলাম সমর্থিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তালুকদার ফয়জুল ইসলাম। পরে, উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে প্রায় এক সপ্তাহ পর ‘চামচ’ প্রতিক পেয়েই নির্বাচনি প্রচারণায় নেমে পড়েন তিনি।
বিলম্বে প্রচার-প্রচারণায় নেমেও ভোটারদের মধ্যে সাড়া ফেলতে সক্ষম হচ্ছেন তালুকদার ফয়জুল। তার কর্মী-সমর্থকদের দাবি, ক্লিন ইমেজের এই মেয়র প্রার্থী শেষমেষ চমকই দেখাবেন পৌরবাসিকে।
এদিকে, গত ২৫ অক্টোবর ‘চামচ’ প্রতিক বরাদ্দ পেয়েই পৌরশহরে শোকরানা শোভাযাত্রা করেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তালুকদার ফয়জুল ইসলাম। তখন থেকেই শুরু করেন অবিরাম প্রচার-প্রচারণা।
বর্তমানে প্রতিদিনই ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। মন জয়ের চেষ্টা করছেন তাদের। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আল-ইসলাহ সমর্থিত প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ায় এবার মেয়র পদে তালুকদার ফয়জুল ইসলামের জয়ের ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী আল-ইসলাহ ও তালামীযের নেতাকর্মীরা।
বিশেষ করে সুন্নী মতাদর্শ ও আল্লামা ফুলতলী রহ. এর অনুসারি আলেম-উলামারা মাঠে সক্রিয় রয়েছেন তার পক্ষে। পৌরশহরে তাদের একটি ভোট ব্যাংকও রয়েছে।
আল-ইসলাহ’র কয়েকজন নেতা জানান, ‘তালুকদার ফয়জুল ইসলাম একজন ক্লিন ইমেজের সজ্জন ব্যক্তি। তিনি নিঃস্বার্থ সমাজসেবকও। বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে মেয়র পদে সচেতন ভোটারগণ অবশ্যই ফয়জুল ইসলামকে ‘চামচ’ প্রতিকে ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করবেন।
আর তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে বিশ্বনাথ পৌরসভা মাদক, সন্ত্রাস ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত একটি মডেল পৌরসভায় রূপান্তরিত হবে।
আল-ইসলাহ সমর্থিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তালুকদার ফয়জুল ইসলাম বলেন, ‘অন্য মেয়র প্রার্থীদের প্রতিক পাওয়ার এক সপ্তাহ পর আমি প্রতিক বরাদ্দ পেয়ে মাঠে নামি। বিলম্বে মাঠে নেমেও ভোটারদের দারুণ সাড়া পাচ্ছি।
আল-ইসলাহসহ অন্যান্য ইসলামী দলসমূহের নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত। তাদের সমর্থনও আছে আমার প্রতি। ইনশাআল্লাহ, আগামি ২ নভেম্বর পৌরসভার সম্মানিত ভোটারগণ আমাকে মূল্যায়ন করবেন।
আমি বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হলে রাস্তাঘাট, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবাসহ সার্বিক উন্নয়ন সাধিত করে পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভায় পরিণত করব।’