খন্দকার মুক্তাদিরে নির্ভার বিএনপি, ‘আট দলের’ প্রার্থী হাবিব

বাংলাদেশ

সিলেট জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পাঁচটিতে ইতোমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে তিনটি আসনে প্রার্থী বদলের দাবি উঠেছে। অন্য মনোনয়প্রত্যাশীদের কর্মী-সমর্থকরা প্রার্থী বদলের দাবিতে নানা কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।

তবে শুরু থেকেই ব্যতিক্রম সিলেট-১ (মহানগর-সদর) আসন। ‘মর্যাদাপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচিত এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তদির। প্রার্থী ঘোষণার পর দলের সবাই তাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। ভদ্র রাজনীতিক হিসেবে তার বেশ সুনাম রয়েছে। তাঁর বাবা খন্দাকার আব্দুল মালিক বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। সে হিসেবে তাঁর ব্যাপক পরিচিতি ও সুনাম রয়েছে। রয়েছে কর্মীবাহিনী ও স্বতন্ত্র ভোট ব্যাংক। এছাড়া সিলেট সদর উপজেলায় বিএনপির বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে। সবমিলিয়ে সিলেট-১ আসন এগিয়ে রয়েছে বিএনপি।

তবে পিছিয়ে নেই জামায়াতে ইসলামীও। সমমনা ইসলামী দলগুলোর সমর্থন আদায়ে কাজ করছে দলটি। ইসলামী দলগুলোর ভোট এক বাক্সে টানতে এরই মধ্যে আট দলের জোট হয়েছে।

একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, সবকটি আসনে জোটের একক প্রার্থী রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন চলছে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া। সমঝোতা হলেই প্রার্থী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসবে। সে হিসেবে সিলেট-১ আসন জোটের সমর্থন পেতে যাচ্ছেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান। সিলেটের রাজনীতিতে তাঁর বেশ পরিচিতি রয়েছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে রয়েছে ভালো যোগাযোগ। হাবিবুর রহমানের ব্যক্তিগত ইমেজ আর সমমনা ইসলামী দলগুলোর সমর্থন ভোটের হিসাব নিকাশ বদলে দিতে পারে বলেও ধারণা করছেন কেউ কেউ।

অতীতে নির্বাচনগুলোতে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ ৫ বার, বিএনপি ৩ বার, জাতীয় পার্টি এবং স্বতন্ত্র একবার করে বিজয়ী হয়েছেন।

বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে পতিত ফ্যাসিস্টরা এই আসনে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। আমি ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। তাদের কথাবার্তা শুনছি। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। বিপুল ভোটে ধানের শীষের বিজয় হবে বলে তিনি আশাবাদী।

জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জেলার আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, আমি গণসংযোগ করছি। সভা-সেমিনারে উপস্থিত থেকে ভোটারদের কথা শুনছি।

সাড়া কেমন পাচ্ছেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে মানুষ পরিবর্তন চায়। এবার এই আসন থেকে দাঁড়িপাল্লা বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে ইনশাআল্লাহ।

বিএনপি জামায়াত ছাড়াও এ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, খেলাফত মজলিস থেকে মাওলানা তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল ফখরুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন থেকে সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ থেকে জেলার সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল, বাসদ (মার্কসবাদী) থেকে জেলার সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাসকে প্রার্থী করা হয়েছে।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *