লন্ডনে। এজন্য পুরো প্রস্তুতি শুরু করেছেন তার পরিবারের সদস্য ও চিকিৎসকরা। এরই মধ্যে নবায়নকৃত পাসপোর্ট খালেদা জিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একাধিক নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে একটু স্ট্যাবল আছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য গঠিত চিকিৎসক বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বিদেশে নেয়া হচ্ছে। লন্ডনেই তার পরবর্তী চিকিৎসা হবে।
গত ৭ জুলাই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় বাসভবনে ফিরে আসেন। এর আগে, ১৫৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
২০১৮ সালে খালেদা জিয়ার শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দেয়। ৭৮ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি, লিভার সিরোসিসহ নানা রোগে ভুগছেন। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় এসে এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি নেত্রীর রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করেন।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, বিমানে সফর করার ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার কোনো শারীরিক সমস্যা হয় কিনা, সেটিকে প্রধান বিবেচনায় রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা। দলের বিভিন্ন নেতারা বিভিন্ন দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন। ফ্লাইট সংক্রান্ত তৎপরতা শেষ হলেই ভ্রমণের প্রস্তুতি নেবেন খালেদা জিয়া।
রোববার বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান ঢাকায় রয়েছেন। তিনি গত সেপ্টেম্বরে ঢাকায় এসেছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। দলের নেতাকর্মী, অনুসারীরা সবসময় এই প্রত্যাশা করে।
শেয়ার করুন