ক্রিকেটে এমন ঘটনা এই প্রথমবার ঘটতে যাচ্ছে। ফুটবল বিশ্বকাপে গত বছর যা করে দেখিয়েছে কাতার, সে কাজই এবার যুক্তরাষ্ট্র করতে যাচ্ছে। পার্ক থেকে তৈরি করা ক্রিকেট স্টেডিয়াম আবারও পার্কে রুপান্তর করা হচ্ছে।
নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচ দিয়ে সমাপ্তি ঘটেছে বিশ্বকাপের নিউইয়র্ক পর্ব। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই জানা গিয়েছিল, নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম একটি অস্থায়ী স্টেডিয়াম। যা বিশ্বকাপ শেষ হতেই সরিয়ে ফেলা হবে।
ক্রিকেটের একটি স্টেডিয়াম কীভাবে সরানো যাবে, তা নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল জাগতে পারে। তবে ১০৬ দিনে তৈরি করা এই স্টেডিয়াম মাত্র ৬ সপ্তাহের ভেতরেই সরিয়ে ফেলা হবে।
ক্রিকেটের প্রথম ‘মডিউলার’ স্টেডিয়াম খ্যাত নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল ম্যাচ শেষ হতেই তা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। মূলত স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল স্টেডিয়ামের গ্যালারিগুলো।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, স্টেডিয়ামটির পিচ ও মাঠ স্থানীয়দের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। শুধু ৩৪ হাজার আসনের এ স্টেডিয়া্মের বাকি সব স্থাপনা সরিয়ে ফেলা হবে। গতকাল ম্যাচ শেষ হতে না হতেই স্টেডিয়ামের বাইরে একাধিক বুলডোজার রাখার ভিডিও ভাইরাল হয়। তখনই ইঙ্গিত মেলে, অতি দ্রুত সরানো হবে এই স্টেডিয়াম।
নিউইয়র্কের ইস্ট মিডৌ অঞ্চলে আইজেনহাওয়ার পার্কে তৈরি করা হয়েছিল স্টেডিয়ামটি। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, গতকাল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের পর থেকেই স্টেডিয়াম ভাঙার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মোট ৮টি ম্যাচ আয়োজিত হয়েছিল এই স্টেডিয়ামে। যেখানে ভারত-পাকিস্তান মহারণসহ বাংলাদেশ- দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
হাজারো দর্শকে মুখরিত স্টেডিয়ামটি এখন শুধু রেকর্ডের পাতায় থেকে যাবে, যা বাস্তবে হয়ে থাকবে আগের মতোই আইজেনহাওয়ার পার্ক হিসেবে।
শেয়ার করুন