গণপিটুনির পর তোফাজ্জলের মামার কাছে চাওয়া হয় ৩৫ হাজার টাকা

জাতীয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে গণপিটুনির শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তোফাজ্জল হোসেন নামের এক যুবক। ‘চোর সন্দেহে’ তাকে আটকে রেখে কয়েক দফায় গণপিটুনি দেওয়া হলেও পরে জানা যাচ্ছে, সে মূলত ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন। এবার তার মামাতো বোন আরও বিস্ফোরক দাবি করছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তোফাজ্জলের মৃত্যু নিয়ে কথা বলার সময় তার মামাতো বোন জানান, তোফাজ্জলকে আটকে রাখার পর তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ফোন করে ৩৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়।

তিনি বলেন, রাত ১১টার দিকে আমার বাবাকে ফোন দেওয়া হয়। বলা হয়েছে, আপনি কি তোফাজ্জলের মামা? হ্যাঁ বলার পর, তারা বললো, আমরা ওরে আটক করেছি, হলে আছে। ওকে নিতে হলে টাকা দিতে হবে ৩৫ হাজার। ৩৫ হাজার টাকা ছাড়ায় নেন, নইলে আমরা তাকে ছাড়বো না।
তিনি আরও বলেন, তারে মারছে, আবার ভাত খাওয়াইছে। আবার মারছে, আবার খাওয়াইছে। একটা মানুষকে তো এভাবে মেরে ফেলে না। সে যদি একটা খুনিও হয়, তারে তো এরকম জীবন্ত মেরে ফেলতে পারে না।

তোজাজ্জলকে কেন মারা হচ্ছে, এই প্রশ্নে ফোনে বলা হয়, ও আমাদের হলে ঢুকেছে। পরে আমি বললাম, ও পাগল মানুষ। কোনো একটা অন্যায় যদি করে, আপনারা তাকে প্রশাসনের কাছে দেন। কিন্তু ওরে মাইরেন না।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *