চাঙা সিলেট বিএনপি। চাঙা নেতকর্মীরাও। প্রায় প্রতিদিনই চলছে মিছিল সভা সমাবেশ। ব্যাপক প্রচারণা। এতে লোকসমাবেশও হচ্ছে ভালোই। সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন উজ্জীবিত।
অবশ্য গণসমাবেশ সফল করতে তারা সময়ও পেয়েছে প্রচুর। সুবাদে প্রচারণাও চলছে দীর্ঘদিন থেকে। ইতিমধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দিয়েছেন, সিলেটের গণসমাবেশ হবে স্মরণকালের সবচে বড় গণসমাবেশ।
এ লক্ষে তারা সিলেটের গ্রামেগঞ্জেও ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গোয়াইনঘাট গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি গণসংযোগ চলছে। গণসংযোগ চলছে অন্যান্য উপজেলা ও পৌরসভায়।
গণসংযোগ চলছে সিলেট মহানগরীতেও। চলছে মিছিল সভা সমাবেশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীতে মিছিল হয়েছে। মিছিল হয়েছে শুক্রবার বিকেলেও। ১৯ নভেম্বরের পূর্বে হাতে যেক’দিন আছে, প্রচারণা চলবে বলেও জানিয়েছে দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র।
ইতিমধ্যে সমাবেশ স্থল সিলেটের ঐতিহাসিক আলিয়া মাদরাসা মাঠে প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার থেকে কাজ শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা।
সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির একাধিক নেতার সাথে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন, আমরা ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। সাড়াও পাচ্ছি অভূতপূর্ব। স্মরণকালের বৃহত্তম গণসমাবেশ দেখবেন সিলেটবাসী।
এদিকে এই গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির প্রতি জনসমর্থন দেখে সরকারি দলের লোকজন পুলিশের সহযোগীতায় বাধা দিতে শুরু করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
শুক্রবার বিকেলে গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপি আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সরকারি দল সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল। বিএনপির লোকজন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে জনগনকে বিভ্রান্ত করছে। সিলেটে অন্তত আওয়ামী লীগ তাদের প্রচারণায় বিঘ্ন ঘটে এমন কোন কাজই করেনি।
তবে নিরপেক্ষ মহল বলছেন, সিলেট বরাবরই সম্প্রীতির শহর। তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে- এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।