ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর লাগাতার আক্রমণে গাজা উপত্যকার ৭০ শতাংশেরও বেশি স্কুল সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসঙ্ঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।
সেখানে গাজার প্রায় ৮৮ শতাংশ স্কুলের পুনর্গঠন বা বড় ধরনের পুনর্বাসনের প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংস্থাটির নিজস্ব ১৬২টি স্কুল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেগুলো এক সময় লাখ লাখ ফিলিস্তিনি শিশুদের শিক্ষা দিতো।
সংস্থাটি দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, গাজার ওপর চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন লাখো শিশুকে বাস্তুচ্যুত করেছে। তাদের মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছে এবং শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। শিশুদের শিক্ষা জীবন যে ধ্বংস হয়ে গেছে, তা গভীর উদ্বেগের বিষয় বলে মন্তব্য করেছে ইউএনআরডব্লিউএ।
উল্লেখ্য, ১৮ মার্চ ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় আবারো এক মারাত্মক সামরিক আক্রমণ চালায়, যার মাধ্যমে জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি ভেঙে ফেলা হয়।
জাতিসঙ্ঘের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই নৃশংস হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠই নারী ও শিশু।
এছাড়া, ২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
অন্যদিকে, ইসরাইল বর্তমানে গাজায় সংঘটিত এই যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
শেয়ার করুন