তানজিল হোসেন, গোয়াইনঘাট: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় উপজেলার পিয়াইন, গোয়াইন ও সারী নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও তৃতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতেকরে গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চল বন্যায় নিমজ্জিত রয়েছে। এদিকে দফায় দফায় বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় নিম্নাঞ্চল ও হাওরাঞ্চলের মানুষজনের মধ্যে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৮ জুন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আজ সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৩ দিনে মোট ৬৪০ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া আজ ১লা জুলাই সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আগামী ৩ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৩ দিনে মোট ৯৬৯ মি.মি. বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত গোয়াইন নদীর গোয়াইনঘাট পয়েন্টে বিপদসীমা ১০.৮২ মিটারের মধ্যে পানির প্রবাহমান ১০.৩৬ মিটার,
পিয়াইন নদীর জাফলং পয়েন্টে বিপদসীমা ১৩.০০ মিটারের মধ্যে পানির প্রবাহমান ১১.৬৯ মিটার ও সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১২.৩৫ মিটারের মধ্যে পানির প্রবাহমান ১২.৩৫ মিটার। যা বিপদসীমার ১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, গোয়াইনঘাটে মোট ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৪৭টি নৌকা মাঝিসহ প্রস্তুত রয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকগণ পূর্বের ন্যায় একযোগে কাজ করবেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে প্রতিটি ইউনিয়নে ১ জন করে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষ্যে এবং মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলাবাসীকে আগে থেকেই সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি। এছাড়া যে সকল ঘর বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকার সম্ভাবনা রয়েছে তাদেরকে সময় নষ্ট না করে এখনই নিরাপদ আশ্রয়ে তথা নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
শেয়ার করুন