সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ৩য় খন্ড গ্রামে অন্তত ১৮টি পরিবারের একমাত্র চলাচলের রাস্তায় গাছের চারা রোপন করে পথ বন্ধ করাসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী এক পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়ে সালমান আহমদ (৩০) নামের এক ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফতেহপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর ৩য় খন্ড গ্রামে বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া প্রতিবেশীদের চলাচলের জন্য একমাত্র রাস্তায় চারা রোপন করে রাস্তা বন্ধ করাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন প্রভাবশালী মৃত আজির উদ্দিন এর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫) ও তাদের পরিবার। এদিকে রাস্তায় চলাচলে বাধা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্কুল, কলেজ, মাদরাসাগামী ছাত্র ছাত্রীসহ ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ১৮টি পরিবারের মানুষজন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী প্রতিবেশী মৃত বশির উদ্দিন এর ছেলে সালমান হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দিলে নানা রকম হুমকি ধমকি সহ ভয়ভীতি দেখান আনোয়ার ও তার পরিবারের লোকজন।
ফতেহপুর ৩য় খন্ড গ্রামের নিরীহ ভুক্তভোগী সালমান আহমদ জানান, রাস্তাটি দিয়ে আদিকাল থেকে মানুষ চলাচল করে আসছে। কোনো দিন সেটি নিয়ে সমস্যা হয়নি। কিন্তু আনোয়ার হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন পূর্ব শত্রুতার কারণে হঠাৎ রাস্তাটি ঘিরে বাধা সৃষ্টি করে। এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। তাই আবার গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব তাহমিলুর রহমান স্যার বরাবর আরেকটি অভিযোগ দিয়েছি, এখনো অপেক্ষায় আছি। আশাকরি ইউএনও স্যার একটা সুষ্ঠ সমাধান দিবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মাদরাসা শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন মাদরাসায় যাতায়াত করি, কিন্তু হঠাৎ করে আনোয়ার হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন এই রাস্তাটি তাদের নিজস্ব দাবী করে রাস্তার উপর গাছের চারা রোপন করে বন্ধ করে দেয়, তাই বর্তমানে আমরা মাদরাসায় যাতায়াতে কষ্ট হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ৪০ বছর যাবত আমরা এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে আসছি, এটা সম্পূর্ণ খাস জমি, এখন হঠাৎ করে আনোয়ার হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন এই রাস্তাটি তাদের নিজস্ব দাবী করে চারা রোপন করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা না দিলে প্রাণে হত্যার হুমকিও প্রদান করেন। রাস্তাটি খুলে দিতে আমরা প্রাশাসনের সহযোগিতা চাই।
অভিযোগের বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, এটা আমার মালিকানাধীন যায়গায় গাছের চারা রোপন করেছি। চাঁদা দাবী করার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, আমি অভিযোগটি পেয়েছি, গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান স্যার বিষয়টিকে সমাধানের জন্য বলেছেন, আমি দুপক্ষকে নিয়ে বসে শীগ্রই এটার সমাধান করার চেষ্টা করবো।
শেয়ার করুন