গোয়াইনঘাটে ভয়ঙ্কর মামলাবাজ হাফিজ মুছা: আতঙ্কে এলাকাবাসী

সিলেট

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধিঃ গোয়াইনঘাটে মামলাবাজ নামে খ্যাত হাফেজ মুছা মিয়া’র কারণে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। তার মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পায়নি তার আপন ভাই, চাচা সহ নিজের আত্মীয় স্বজনও। ঘটনাটি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর ১ম খন্ড (উপর লংপুর) এলাকায়।

জানা যায়, উপর লংপুর গ্রামের মৃত নিসার আলীর ছেলে মামলাবাজ হাফেজ মুছা মিয়া তার বসত বাড়ির আসে পাশের আত্মীয়, প্রতিবেশীর নামে থানায়, কোর্টে প্রায় এক ডজন মামলা ও অভিযোগ দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে হয়রানি করে আসছেন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি যে কারও বিরুদ্ধে মামলা টুকে দেন। সার্বক্ষণিক তার মামলার আতঙ্কে থাকেন এলাকাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে মুছা মিয়ার করা ১১টি মামলা চলমান রয়েছে, তন্মধ্যে সি-আর নং ৯৪ এই মামলায় আসামী রয়েছেন মাতাব উদ্দিন, আল আমীন সহ মোট ৫ জন। সি-আর ১৭ নং মামলায় আসামী রয়েছেন উসমান আলী সহ ৯জন। মামলা নং ১০৩ এ রয়েছেন আবারও মাতাব উদ্দিন সহ ৫জন আসামী। মামলা নং ২৭৩ এ তার আপন ছোটভাই হারুনুর রশীদ, আল আমীন সহ মোট ৭ জন আসামী রয়েছেন। মামলা নং ১৩ এ সমর আলী সহ ৫জন আসামী রয়েছেন। মামলা নং ৪০ এ আরো অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আসামী রয়েছেন। মামলা নং ১৩৭ এ তার আপন চাচা সমর আলী সহ মোট ৫ জন আসামী রয়েছেন। মামলা নং ১ এ জমির উদ্দিন সহ আরো ৯জন আসামি রয়েছেন। মামলা নং ৯৯ (সি-আর) তার চাচা সমর আলী সহ আরো ৫ জন আসামী রয়েছেন। মামলা নং ৩১৬ এ উসমান আলী সহ আরো ৭ জন আসামী রয়েছেন। মামলা নং ১ এ জমির উদ্দিন সহ মোট ৯ জন আসামী রয়েছেন। এই প্রত্যেকটা মামলার বাদী হলেন মুছা মিয়া।

ভুক্তভোগীরা জানান, এই মুছা বিভিন্ন সময় মানুষদের হুমকি ধমকি সহ নানা ভয়ভীতি দিয়ে আসছে। সে দফায় দফায় মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকাবাসী ও আত্মীয় স্বজনদের হয়রানি করে আসছে। আমরা এলাকাবাসী মুছার মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুছার এক প্রতিবেশী বলেন, এই মুছা যাকে তাকে যখন তখন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। এমন কি স্থানীয় থানায় মামলা না নিলে কোর্টে মামলা দিয়ে আসে। সে এলাকায় মামলাবাজ মুছা নামে খ্যাত। মুছার এক আত্মীয় জানান, মামলাবাজ মুছার মামলার আতঙ্কে এলাকার সাধারণ মানুষ ভীতিগ্রস্ত, কথায় কথায় মামলার ভয় দেখায়।

মামলাবাজ হাফিজ মুছার মামলার কবল থেকে বাঁচতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *