গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোলাপগঞ্জের বাদেপাশা ইউনিয়নের উত্তর আলমপুর গ্রামের কুশিয়ারা নদী থেকে গভীর রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে একটি বালুখেকো চক্র।
গত ২৮জানুয়ারী,২০২৩ইং (বৃহস্পতিবার) রাত ২ টার দিকে এ চক্রটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের চেষ্টা করলে স্থানীয় কয়েকজন টের পেয়ে ধাওয়া করে।
জানা যায়, উত্তর আলমপুর কুলিয়া গ্রামের কুশিয়ারা নদী থেকে দীর্ঘদিন থেকে একটি চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ চক্রটি এলাকাবাসীর অগোচরে বালু উত্তোলনের চেষ্টা চালালে উত্তর আলমপুর গ্রামের কয়েকজন লোক বালু উত্তোলনে বাধা দিতে নদীর তীরে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন লোক নদীর তীর থেকে তাদেরকে ধাওয়া করতে থাকলে তারা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় নাম অনিচ্ছুককারী কয়েকজন জানান, বালুখেকো চক্রের প্রধান উত্তর আলমপুর গ্রামের ফরিজ উদ্দিনের ছেলে সুহেদ আহমদ,যার নেতৃত্বে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করে আসছে।আমরা গত ৩/৪ দিন আগে বাদেপাশার সাবেক ইউপি সদস্য বুরহান উদ্দিনের উপস্থিতে তাকে বালু উত্তোলনের বিষয় জিজ্ঞেস করলে সে বলে “আমি উত্তর আলমপুর গ্রামের জয়নাল উদ্দিন ও শাহিন আহমদকে টাকা দিয়ে বালু উত্তোলন করছি” এক পর্যায় তর্কবিতর্ক সৃষ্টি হলে সে আমাকে বালু উত্তোলনে বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।আমার বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বালুখেকো চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ ব্যাপারে কুশিয়ারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ খান জালাল উদ্দিন বলেন, বালুখেকো চক্রের বালু উত্তোলনের কোন তথ্য পাইনি দিনদুপুরে বালু উত্তোলন করলে অবশ্যই আমরা জানতাম।কিন্তু শুনছি রাতের অন্ধকারে বালু উত্তোলন করে আসছে তার কোন সত্যতাও নিশ্চিত করতে পারিনি।আমাদের তদন্ত চলছে, যদি বালু উত্তোলনের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করতে, বালুখেকো চক্রের প্রধান সুহেদ আহমদকে একাধিক বার প্রতিবেদক ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি অতঃপর সাংবাদিক শুনে ফোন কেটে দেন।
উল্লেখ্য,অতীতও উত্তর আলমপুর গ্রামের কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলনকারীদের গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়।
কুশিয়ারা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে কুশিয়ারা নদীর তীরের অসংখ্য ঘরবাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। নদী পারের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসা রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে।