গোলাপগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক নারীর হাত কেটে ফেলেছে হামলাকারীরা

সিলেট

নিজস্ব প্রতিবেদক::

গোলাপগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক নারীর  হাত কেটে ফেলেছে হামলাকারীরা। ঘটনার পর মূমুর্ষ অবস্থায় ঐ নারীকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার চেষ্টা করলে গুরুতর আহত দেখে স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ,পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা। হামলার শিকার ঐ নারী গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের সুপাটেক গ্রামের রুহেল আহমদের স্ত্রী নাহিদা আক্তার (২৭)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত নাহিদা আক্তার  বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট ২য় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদলত আমলে নিয়েছে, যার  (মামলানং-৫৯,২০২৩)।

মামলাসূত্রে জানা যায়,মামলার বাদী নাহিদা আক্তারের পিতার সাথে বাড়ির সীমানা নির্ধারন নিয়ে বিবাদীগংদের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসতেছে। এই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৫ই ফেব্রুয়ারি,২০২৩ ইং(রবিবার) সকাল ৯:৩০ ঘটিকায় বিবাদীগং তাদের ব্যবহৃত জুতা বাদীর ঘরের সীমানায় ফেলে রাখে।তখন বাদী জুতাটি কার জানতে চাইলে বিবাদীগং তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।এরপর বাদী গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে বিবাদীগং ঘর থেকে দা কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর প্রাণনাশে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।বিবাদীগংদের হামলায় বাদী নাহিদা আক্তারের বুড়ি আঙ্গুল ও শাহাদাত  আঙ্গুল কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি মারাত্মক নীলাফুলা জখম করে।তাৎক্ষণিক বাদীর পিতা চুনু মিয়া তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে বিবাদীগং তাকে ধাওয়া করে।পরে বিবাদীরা ঘরের মধ্যে দরজা বন্ধ করে আটকে রেখে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে  হুমকি প্রদান করে বলে,আগামীতে এ বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে বাদিসহ  তার পরিবারের সকল সদস্যকে প্রাননাশে  হত্যা করে নদীতে লাশ বাসিয়ে দিবে।বাদিসহ তার পরিবার ঘর থেকে বাইর হতে না পেরে ৯৯৯ এ কল দিলে কুশিয়ারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এসে বিবাদীদের কবল হইতে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে।

মামলার বাদী ও ভিকটিম নাহিদা আক্তার প্রতিবেদককে জানান,আমার পিতার সাথে পূর্বশত্রুতার জের ধরে আমাকে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যেই মারধর করে মারাত্মক জখম করে।আমাকে চেষ্টা করে মাথায় দা দিয়ে আঘাত করার কিন্তু আমি হাত দিয়ে আটানোর চেষ্টা করলে আমার ২ টি আঙ্গুল কেটে যায়।  বর্তমানে আমার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ, হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি।তারা একটি ক্ষমতাসীন চক্রের সহযোগিতায় আমাদেরকে প্রতিনিয়ত অত্যাচার নির্যাতন করে যাচ্ছে।আমার হামলাকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় এনে  দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুশিয়ারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই খান জালাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। আসামীদের আটক করতে পুলিশ সোচ্চার রয়েছে। আশাকরি খুব শীঘ্রই তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *