চাঁদাবাজি বন্ধ হলেও কাঁচাবাজারে জিনিসের দাম আগের মতোই

জাতীয়

বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা চাঁদাবাজদের উৎপাত মুক্ত হলেও এর প্রভাব পড়েনি পণ্যের দামে। চাঁদা দিতে না হওয়ায় তাদের লাভের পরিমাণ বেড়েছে। দাম না কমার জন্য বিরূপ আবহাওয়াকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা।

ক্রেতারা বলছেন, গণঅভ্যূত্থানের পর ছাত্ররা যতদিন বাজারে সক্রিয় ছিল ততদিন দামে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর অস্থায়ী কৃষি মার্কেটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গণঅভ্যুত্থানের আগে তাদের ৩০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হলেও এখন দিতে হয় না। তবে জিনিসপত্রের দামে এর প্রভাব পড়েনি।

ইলিশের ভরা মৌসুমে রপ্তানি না হলেও দাম না কমার জন্য নদীতে ইলিশ কম পাওয়াকে দায়ী করলেন মাছ বিক্রেতারা। গণঅভ্যুত্থানের প্রভাব পণ্যমূল্যে না পড়ায় হতাশ সাধারণ মানুষ।

বর্তমানে পাইকারি বাজারে ১৭০ টাকা দামে মুরগি বিক্রি হচ্ছে। এর পাশাপাশি প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৫০-২৭০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ১০ টাকা কম ছিল। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬৫-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার বিভিন্ন বাজারে গতকাল ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৬০ টাকা ও সাদা ডিম ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাড়া-মহল্লার দোকানে দাম আরও পাঁচ টাকা বেশি ছিল। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরেই ঢাকার বাজারে ডিমের দাম চড়া রয়েছে; ডজন বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। এর আগে ডজন ১৫০ টাকার নিচে ছিল।

বাজারে দেশি পেঁয়াজ ও আলুর দাম আগের তুলনায় কমেছে। গতকাল বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১০০-১১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই দাম আগের সপ্তাহে ৫-১০ টাকা বেশি ছিল।

সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে সব ধরনের সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে, বলছেন বিক্রেতারা। কচুরমুখীর কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *