২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে প্রথমে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি ঘটে। বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। চীনে করোনার প্রকোপ অনেকটা কমে এলেও নতুন করে আবারও বাড়ছে সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করেছেন দেশটির শীর্ষ মহামারি বিশেষজ্ঞ ঝঙ নানশান। খবর: আল জাজিরা
রবিবার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ হয় এই মহামারি বিশেষজ্ঞের। চীনের রাজধানী বেইজিংসহ কয়েকটি প্রদেশে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের চলচালে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করে শি জিনপিং সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে অনেকে। যা চীনের বিরল ঘটনা। চীনে সাধারণত সরকারের কোনও পদক্ষেপ অথবা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করতে দেখা যায় না। প্রতিবাদে কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের খবরও পাওয়া যায়। চাপের মুখে বাধ্য হয়ে বিধিনিষেধে শিথিলতা আনে সরকার।
সাম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে মহামারি বিশেষজ্ঞ ঝঙ বলেন, ‘বর্তমানে ওমিক্রন মিউটেশন… অত্যন্ত সংক্রামক। একজনের মধ্যে থাকা ভাইরাস ২২ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। এখন মহামারি চীনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ যতই শক্তভাবে নেওয়া হোক না কেন, সংক্রমণের চেইন ভেঙে ফেলা কঠিন হবে।’
গত ৬ ডিসেম্বর ৩ হাজার ৯৭৪ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি মিললেও গত শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ১ হাজার ৬৬১টি কেইস পাওয়া গেছে। কিন্তু সংখ্যা হ্রাসে যে স্বস্তি মিলছে তা নয়। মধ্য বেইজিংয়ের জিয়ানগুওমেন এলাকার দুই শিশুর মা লিউ চেং ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ‘আমি ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছি। আমার অনেকর কোভিডের উপসর্গ আছে। এদের অনেকে ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষা করালে পজেটিভ আসে। কিন্তু বিষয়টি হাসপাতাল অথবা সরকারকে জানায়নি তারা।
শেয়ার করুন