ছাতকের নয়ন জুলি খাল ও রাস্তা বন্দোবস্থ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে আবেদন

সুনামগঞ্জ

সেলিম মাহবুব,ছাতকঃ
ছাতকে একটি ভুমি খেকো চক্র কর্তৃক গোবিন্দগঞ্জে সওজ’র সড়ক সংলগ্ন খাল ও রাস্তা দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারের পরিবেশ আইন উপেক্ষা করে গোপনে খাল ও রাস্তা বন্দোবস্থের নামে সরকারী ভুমি দখল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এসএ রেকর্ডভুক্ত খাল ও রাস্তা শ্রেণী ভুমি বন্দোবস্থ কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ করার জন্য ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি, ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন দেন। আবেদনে বলা হয়, গোবিন্দগঞ্জ পূর্ব রামপুর মৌজার সরকারি খতিয়ানভুক্ত ১১০ শতক নয়ন জুলি নামক খাল ও রাস্তা দখলে নিতে বন্দোবস্থ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। যা রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় রয়েছে। উক্ত খাল শ্রেণীভুক্ত ভুমি রেজিষ্ট্রশন পক্রিয়া সম্পন্ন হলে সরকার ও জনস্বার্থের অপুরনীয় ক্ষতি সাধিত হবে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারী জেলা প্রশাশক বরাবরে দেয়া আবেদনের প্রেক্ষিতে গোবিন্দগঞ্জ বাজার মোকদ্দমা নং ১০/২০২০-২২ নিস্পত্তি না করে গোপন যোগসাজেসে বন্দোবস্থ গ্রহন দুঃখজনক বলেও আবেদন বলা হয়। ভুমি মন্ত্রনালয় আইন অনুযায়ী সরকারী খাল ও রাস্তা ইজারা যোগ্য ভুমি নয়। পরিবেশ আইন-২০০০ অনুযায়ী খাল ও রাস্তা বন্দোবস্থ কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, সিলেট-সুনামগঞ্জ মাহসড়কের গোবিন্দগঞ্জ ব্রীজ সংলগ্ন নয়ন জুলি খাল ও রাস্তা। মহসকের পাশে ৩৩ দাগের খাল ও রাস্তা এবং ব্রীজের গোড়ারা কোন ভুমি ইজারা যোগ্য নয় মর্মে ভুমি মন্ত্রনালয়ের নিদের্শনা রয়েছে। এ ছাড়া সড়কের পাশে ১০ মিটার পর্যন্ত ভুমি কোন ধরনের স্থাপনা থাকবে না মর্মে উচ্চ আদালতের ১৫৪৬/২০১১ নং রীট মোকাদ্দমায় কার্যক্রর আদেশ প্রদান করেছেন। এসব নিদের্শনা থাকা সত্ত্বেও ভুমি খেকোদের বিরত রাখা যাচ্ছেনা। এসএ রেকর্ডভুক্ত ওই খাল ও রাস্তা বন্দোবস্থ কার্যক্রম বন্ধ রাখত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয় আবেদনে।##

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *