ছাতকে ইজারা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে ব্যবসায়ীদের সাথে বিআইডব্লিউটিএ’র প্রতিনিধি দলের বেঠক

সুনামগঞ্জ

সেলিম মাহবুব,ছাতক:

ছাতকে নদীপথে বিআইডব্লিউটিএ’র নামে একই এলাকায় পৃথক দু’টি টোল আদায়কে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী ও ইজারাদাদের মধ্যে সৃষ্টি জটিলতা নিরসনে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল শনিবার দুপুরে ছাতক শাহপরান ইঞ্জিন নৌকা মালিক সমবায় সমিতির কার্যালয়ে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে এ বৈঠক করেন। বেঠকে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ নদীপথে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ব সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, চলতি অর্থ বছরের জন্য বিআইডব্লিউটিএ কোম্পানীগঞ্জের রনিখাই হতে পারকুল ও দোয়ারাবাজার পর্যন্ত নদীপথ ইজারা দেয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। যা ইজারা গ্রহীতাগন নিয়মিত টোল আদায় করেও যাচ্ছেন। সম্প্রতি একই এলাকায় কোম্পানীগঞ্জের মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির নামের এক ব্যক্তির নামে বিআইডব্লিউটিএ সুনামগঞ্জের সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা সুব্রত রায় স্বাক্ষরিত এ পরিপত্রে ইজারা প্রদান করা হয়। পরিপত্রে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর পশ্চিম পাশে টুকের বাজার, পূর্ব পাশে ডকারপাড় ও লাউটিরপাড় হয়ে আরশি খাল পর্যন্ত নদীর উভয় পাড়ে উঠানামাকৃত মালামালের এলএসসি এবং নৌযানের বর্দিং চার্জ আদায় কেন্দ্র ঘাট/পয়েন্টটি স্পট কোটেশনে পরিচালনার কার্যাদেশ উল্লেখ করে অনুমোদন দেয়া হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ উল্লেখিত স্থানটি বালু মহাল বা কোয়ারী। যেখানে সরকারের রাজস্ব দিয়ে বৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ ছাড়া এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে সিলেটের জেলা প্রসাশকের কার্যলয়ে জেলা প্রশাসক নুমেরী জামানের সভাপতিত্বে এক সভায় বালুভর্ত্তি কোন নৌ-যান থেকে অবৈধভাবে কোন চাঁদা আদায় করা যাবে না মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। যা বিগত কয়েক বছর ধরে কার্যকর হয়ে আসছিল। সম্প্রতি সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা সুব্রত রায় কর্তৃক যে মাসিক ইজারা প্রদান করা হয় সেই ইজারাদারগন অবৈধভাবে কোম্পানীগঞ্জের কাটাগাং হতে বিলাজুরের মধ্য স্থানে অবৈধভাবে প্রতি নৌ-যান হতে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। একই স্থানে বিআইডব্লিউটিএ’র দুটি ইজারা প্রদানের অবৈধতা নিয়েও প্রশ্নতুলেন ব্যবসায়ীরা। এসময় এক মাসের ইজারা প্রদানের বিষয়টি সরকারী বিধিমালায় রয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক ইকবাল আলম জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহায়তা নিয়ে নদীবন্দরের সীমানা নির্ধারনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। একই সাথে সীমানা সহ টোল আদায়ের পরিমান সম্বলিত সাইনবোর্ডও সাটানো হবে। এক সপ্তার মধ্যেই সুষ্ট জটিলতা নিরসন করা সম্ভব হবে বলে বিআইডব্লিউটিএ’র এ কর্মকর্তা ব্যবসায়ীদের আশ্বস্থ করেন। প্রতিনিধি দলে বিআইডব্লিউটিএ’র উপ পরিচালক মিজানুর রহমান ও সুনামগঞ্জের সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা সুব্রত রায় উপস্থিত ছিলেন। ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান অদুদ আলমের সভাপতিত্বে ও ছাতক শাহপরান ইঞ্জিন নৌকা মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি, পৌর কাউন্সিলর হাজী ছালেক মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফজলু মিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল হাসান, ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক সামছু মিয়া, ছাতক লাইমষ্টোন ইম্পোটার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স গ্রুপের সেক্রেটারী অরুন দাস, শাহপরান ইঞ্জিন নৌকা মালিক সমবায় সমিতির সহ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, লেবার সর্দার সমিতির সভাপতি ওয়ারিছ আলী প্রমূখ। ##

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *