ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকে সরকারী জলমহাল নীতি উপেক্ষা করে সাব লিজ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের জালিয়া গ্রামের মৃত তৈমুছ আলীর পুত্র, সোনারতরী মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মিরাশ আলী ও একই গ্রামের হাজী আব্দুল গনির পুত্র লুৎপুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিপ্রায়ে শর্তভঙ্গ ও সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি-২০০৯ লঙ্ঘন করে সাব-লীজ বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন ছাতারপই গ্রামের মৃত আইন উদ্দিনের পুত্র, পাগনার বড়বিল জলমহাল ইজারাদার প্রদত্ত অংশিদার মোজাক্কির আহমদ। গত ১২ সেপ্টেম্বর মিরাশ আলী ও লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন উপ ইজারাদার মোজাক্কির আহমদ। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মখর্তা বরাবরে প্রেরন করা হয়েছে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, ‘সোনারতরী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মিরাশ আলী সমিতির নামে ২০১৮ সালে পাগনার বড়বিল জলমহাল লীজ গহন করেন। ইজারা গ্রহনের পর থেকেই চরম অর্থ সংকটে ভোগতে থাকেন সমিতির সভাপতি মিরাশ আলী। পাগনার বড়বিল জলমহাল ইজারা গ্রহনের আগেই ইজারা গ্রহিতা দরিদ্র মিরাশ আলী জলমহালে অর্থ বিনিয়োগের জন্য উপ-ইজারা হস্তান্তরের শর্তে মোজাক্কির আহমেদের দ্বারস্থ হন। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শর্তসাপেক্ষ সরল বিশ্বাসে জলমহালে অর্থ বিনিয়োগ করতে সম্মত হন মোজাক্কির আহমেদ। ইজারা গ্রহনের পর থেকেই উপ ইজারাদার হিসেবে অংশিদারিত্বের দোহাই দিয়ে মোজাক্কির আহমেদের কাছ থেকে প্রতিবছর ৫ লক্ষ টাকা করে নেন সমিতির সভাপতি মিরাশ আলী। চলতি বছরে নগদ ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সহ জলমহাল খাতে মৎস্য পোনা, দল, বাঁশ, কাটা স্থাপন, নৌকা, জাল-দড়ি ও পাহারাদারের বেতন বহনের জন্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বিনোয়োগে বাধ্য করানো হয় মোজাক্কির আহমেদকে। কিন্তু সরকারিভাবে ইজারা চুক্তির নীতিমালা লংঘন হওয়ার অজুহাতে অর্থ বিনিয়োগকারী উপ-ইজারাদার মোজাক্কির আহমেদের সাথে কোন চুক্তিনামায় উপনীত হতে চাননি মিরাশ আলী। তবে গোটা বিষয়টি মোজাক্কির আহমেদের আত্ম বিশ্বাসের কৌশল করে মিরাশ আলী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ইজারা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরসহ জলমহালের সমগ্র কার্যক্রমে মোজাক্কিরকে সাথে রাখেন। পরবর্তিতে বিনিয়োগকৃত সমুদয় টাকা আত্মসাত করে অংশীদ্বারিত্ব থেকে বঞ্চিত করার জন্য জলমহাল অন্যত্র বিক্রয়ের পঁয়তারা করেন সমিতির সভাপতি মিরাশ আলী ও সদস্য লুৎফুর রহমান। মোজ্জাকির আহমদ জানান, মিরাশ আলী ও লুৎফুর রহমান লোভে পড়ে জলমহাল অন্যত্র বিক্রয়ের পঁয়তারা করেছে। জলমহালে তার প্রায় বিনিযোগকৃত ২৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের জন্য অংশীদারিত্ব থেকে বিতাড়িত করেছে তারা। অর্থ বিনিয়োগকারী হিসেবে জলমহালে তার অংশিদারিত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, তার কাছে দীর্ঘদিনের ফিশারির মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ রয়েছে। এছাড়াও প্রায় চার বছর ধরে জলমহালে উপজেলা মৎস কর্মকর্তার পরামর্শে ও সমন্বয়ে পাগনার বড়বিল জলমহালে পোনা মাছ অবমুক্ত করনের ভিডিও ফুটেজও রয়েছে তার কাছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সোনারতরী সমবায় সমিতির সভাপতি মিরাশ আলী জানান, তিনি মোজ্জকির আহমেদকে সাব লীজ দিয়েছেন। তবে অর্থ সংক্রান্ত অভিযোগ গুলোর অনেকটাই সত্য নয়। ##
শেয়ার করুন