ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতক সিমেন্ট কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী সমবায় সমিতির অধিনস্থ অস্থায়ী ৯০ জন শ্রমিক তাদের চাকুরী বহাল রাখার দাবীতে মানববন্ধন করেছে। মাববন্ধন শেষে তারা কারখানার এমডি বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাসের কাছে স্মারকলিপি দেয়। শনিবার সকালে কারখানার সিবিএ কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে তারা। ১ সেপ্টেম্বর থেকে কারখানার অস্থায়ী শ্রমিকদের মধ্যে প্রথম ধাপে ৯০ জনকে চাকুরী থেকে অব্যাহিত দেয়া হয়। এ ছাড়া পুরাতন প্রকল্প বন্ধ হয়ে পড়ায় কারখানার স্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের ইতিমধ্যেই দফায়-দফায় অন্যত্র বদলী করা হচ্ছে। বর্তমামে কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বিরাজ করছে বদলী আতংক। দেশের প্রাচীনতম শিল্প প্রতিষ্ঠান ছাতক সিমেন্ট কারখানায় নতুন প্রকল্প আধুনিক ড্রাই প্রসেস সিমেন্ট কারখানার কাজ চলমান রয়েছে। ফলে প্রায় এক বছর ধরে পুরাতন কারখানায় উৎপাদন ও বিপনন বন্ধ হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ মাস ধরে কারখানার শ্রমিক-কর্মর্তাদের বেতন-ভাতা দিতে পারছ না কারখানা কর্তৃপক্ষ।এদিকে বেতন-ভাতা পরিশোধ না করেই ছাটাই করা হয়েছে ৯০ জন শ্রমিককে। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ। শনিবার তারা চাকুরী বহালের দাবী সহ বিভিন্ন দাবী সম্বলিত প্লে-কার্ড বহন করে মৌন মিছিল শেষে কারখানার সিবিএ কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন চাকুরী হারা শ্রমিকরা। এসব অস্থায়ী শ্রমিকরা স্থায়ী হওয়ার প্রত্যাশায় প্রায় ১৫-২০ বছর ধরে কারখানার বিভিন্ন সেক্টরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নুন্যতম বেতনে কাজ করে আসছিলেন। গত প্রায় দু’বছর ধরে তারা ১২-১৩ হেডস এ কাজ করে আসছিলেন। মাসের অব-ডে ছাড়া ২৫-২৬দিন কাজ করেও তারা বেতন পান ১২-১৩ দিনের। বর্তমানে তারা চাকুরী হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এক সাথে ৯০ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ায় তাদের পরিবার-পরিজন পড়েছে জীবন-জীবিকা নির্বাহে ক্ষেত্রে হুমকির মুখে। নতুনভাবে জীবন শুরু করার শারীরীক ক্ষমতাও অনেকের নেই। বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় এনে ছাটাইকৃত এসব অস্থায়ী শ্রমিকদের কাজে পুনঃ বহালের দাবী জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন কারখানার এমডি সহ বিভিন্ন দপ্তরে। এ ছাড়া সংসদ সদস্য, বিসিআইসর চেয়াম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও স্মারকলিপির অনুলিপি প্রদান করেছেন তারা। এ ব্যাপারে কারখানার এমডি বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস জানান, বাদ দেয়া শ্রমিকরা কারখানায় সরাসরি নিয়োগ প্রাপ্ত নয়। তারা কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী সমবায় সমিতির অধিনে কাজ করতো। রাখা না রাখা তাদের বিষয়।##
শেয়ার করুন