আল কুরআন মানবতার মুক্তির
মহাগ্রন্থ ও শ্রেষ্ঠতম মহাবিজ্ঞান
—-মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার
বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার বলেছেন, মানুষের জীবন চলার পথে পরিবেশ ও প্রতিবেশকে ইতিবাচক ও কল্যাণকর রূপে ব্যবহারের পরিশীলিত সুবিন্যস্ত জ্ঞানই হলো বিজ্ঞান। আল কুরআন মানবতার মুক্তির মহাগ্রন্থ ও শ্রেষ্ঠতম মহাবিজ্ঞান। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা ইয়াসিনে জানিয়ে দিয়েছেন- ‘শপথ বিজ্ঞানময় কুরআনের।’ কুরআন মাজীদের প্রথম অবতীর্ণ পাঁচটি আয়াতেও তার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে : ‘পড়ো তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন; যিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন জমাট রক্তপিণ্ড থেকে। পড়ো; আর তোমার রব মহীয়ান; তিনি কলমের মাধ্যমে শিক্ষাদান করেছেন, মানুষকে তা শিখিয়েছেন, যা সে জানতো না।’ (সূরা আলাক)।
তিনি বলেন, বিজ্ঞানীরা তাদের নানা আবিষ্কারে কুরআন থেকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়েছেন; তাদের তথ্য ও তত্ত্বগুলো কুরআনিক সূত্রের অনুকূলে এসেছে। বিশ্বের বহু সেরা বিজ্ঞানী কুরআন পড়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। যেমন বিশ্ববিশ্রুত বিজ্ঞানী ড. মরিস বুকাইলী, যিনি ‘বাইবেল, কুরআন ও বিজ্ঞান’ নামক একটি বই লিখেছেন।
তিনি বৃহস্পতিবার রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার রংপুর জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা আয়োজিত ১৫তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই ও প্রতিষ্ঠাতা সুপার ক্বারী মাওলানা আবুল কালামের সভাপতিত্বে এবং মাদরাসার সুপার মাওলানা জামিল আহমদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বয়ান পেশ করেন দোয়ারা বাজার কলাউরা ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুস সাত্তার, ছাতক সিমেন্ট কোম্পানী জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব ক্বারী মাওলানা মুজিবুর রহমান, আলেমেদ্বীন মাওলানা আব্দুল হাই আল হাদী ও ক্বারী ইসমাইল হোসেন সিরাজী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার আরও বলেন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের পাশাপাশি ধর্মীয় তথা দ্বীনি শিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। অবশ্যই সকল শিক্ষার্থীকে নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষা দেয়া যাবে না। তাহলে তারা বিপথগামীতার দিকে ধাবিত হয়ে যাবে। সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সুশিক্ষার বিকল্প নেই।
শেয়ার করুন