তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছাত্রাবাসের কক্ষ ভাংচুরও করে ছাত্রলীগ কর্মীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দুপুরে গোসলে ওয়াশরুম ব্যবহার নিয়ে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানের অনুসারী শিমুল মিয়ার সাথে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহ-সভাপতি মামুন শাহ গ্রুপের অনুসারী মুসলিম ভূইয়ার বাকবিতন্ডা হয়। এর জেরে সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। হাতাহাতিতে তাদের অনুসারীরাও জড়িয়ে পরেন।
শিমুল মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিকাল স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের (২০২০-২১ সেশন) শিক্ষার্থী এবং মুসলিম ভূইয়া বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে এ ব্লকের ওয়াশরুমে গোসল করছিলেন বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মুসলিম ভূইয়া। তখন ওয়াশরুমের বাইরে থেকে ডাকাডাকি শুরু করেন শিমুল মিয়া। এনিয়ে দজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
সজিবুর রহমান ও মামুন শাহ গ্রুপের নেতারা এ ঘটনা জানতে পরে সন্ধ্যার তারা বিষয়টি মীসাংসার জন্য হলের ৪০৯ নং কক্ষে বসেন। এসময় দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে। হাতাহাতির সময় দুইপক্ষ ছাত্রাবাসের টেবিল ফ্যান, তালা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর। মূহূর্তেই এই বিবাদে পুরো ছাত্রাবাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এসময় দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। শিমুল মিয়া সৈয়দ মুজতবা আলী হলে থাকবে মুসলিম ভূইয়াকে বঙ্গবন্ধু হলে হলে বা মেসে চলে যেতে বলেছি।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহ-সভাপতি মামুন শাহ বলেন, ছোট একটা বিষয় একটু ঝামেলা হইছিলো। আমরা সমস্যাটির সমাধান করে দিয়েছি।
সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো আবু সাঈদ আরেফিন খান বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে যে সমস্যাটি হয়েছে তা মিমাংসা করো দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদেরকে বলেছি এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে কোন সমস্যা তৈরি না করতে।
এ বিষয়ে জানতে শাবি প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইলের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শেয়ার করুন