ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যার ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি

সিলেট

সিলেট নগরের বালুচর এলাকায় ‘দলীয় কর্মীদের’ ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদ (১৯) খুন হওয়ার ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলেও মামলা হয়নি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার কিংবা আটক করতে পারেনি পুলিশ।

সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, লাশ দাফনের পর মামলা করা হবে। তবে আজ বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অভিযোগ নিয়ে কেউ থানায় আসেননি।

নিহত তরুণের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, তারা মামলার এজাহার লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ বিকেলে থানায় গিয়ে মামলাটি করবেন। নিহত আরিফের মা আঁখি বেগম প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ করার জন্য আইনজীবীর সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেছেন। আইনজীবী বাসায় আসার পর আলোচনা করে বিকেলের দিকে থানায় অভিযোগ দেবেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না দিলে ঘটনার সঙ্গে আর কার কার সংশ্লিষ্টতা আছে, সেটি বিস্তারিত পাওয়া যাবে না। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। তবে নিজেদের মতো করে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের বালুচর টিবিগেট এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে আরিফকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান কয়েক যুবক। তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত একটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। আরিফ নগরের টিলাগড় এলাকার স্টেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ ওরফে নিপুর নেতৃত্বে আরিফকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবার। হিরণ মাহমুদ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। আরিফ পদে না থাকলেও জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলামের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। এ হত্যাকাণ্ডে হিরণ মাহমুদ জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন নাজমুলও। ঘটনার পর থেকে কয়েক দফা চেষ্টা করেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় অভিযোগের বিষয়ে হিরণ মাহমুদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *