ছেলে-মেয়ের প্রেম নিয়ে বাবাদের মধ্যে তর্কাতর্কিকে কেন্দ্র করে সিলেটে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন ও ১২জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাতে সিলেট সদর উপজেলার নাজিরেরগাঁও ও নয়াখুররমখুলা গ্রামের লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই গ্রামের লোকজন। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন- সিলেট সদর উপজেলরা নয়াখুররমখুলা গ্রামের ঘোলাই মিয়ার ছেলে মো.ওয়ারিস (৫৫), একই এলাকার মৃত আলতু মিয়ার ছেলে তকদির ইসলাম (৩৫), মৃত আফরুজ আলীর ছেলে তসির আলি (৬০), নাজিরগাঁও গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে সাহব আলী, নাজিরগাঁও গ্রামের মৃত জোবেদ আলীর ছেলে আতাউর (৫২), নাজিরেরগাঁও গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে সামাদ, জালালাবাদ গ্রামের মনিরাম পরাইটের ছেলে দীপক পরাইট (২৪), নাজিরেরগাঁও গ্রামের মৃত মো.হামীম মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া (৩৫)।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সূত্রপাত মূলত প্রেম নিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার বাবাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরবর্তীতে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তাদের পক্ষ নিয়ে দুই গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে যায়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়, কিন্তু সংঘর্ষ তীব্র হতে থাকে। পরে সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রেম নিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার বাবাদের তর্কাতর্কিতে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ১২জনকে আটক করেছে। এরমধ্যে আহত ৮জনকে হাসপাতাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা নিয়ে আসা হয়েছে। তাদেরকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার(১৪মার্চ) দুপুর ২টা পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো পক্ষেই অভিযোগ দায়ের করেননি।
শেয়ার করুন