জগন্নাথপুরে ১৯ মণ ওজনের ষাঁড় ‘আদর’, দাম ১০ লাখ

সুনামগঞ্জ

কোরবানির ঈদে বিশাল আকৃতির ষাঁড় ‘আদর’-এর দিকে ক্রেতাদের নজর পড়েছে।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার হাবিব নগর নতুন থানার পাশে কলোনিতে অস্থায়ী বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন চার বছর ধরে ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন,বিশ্বনাথ উপজেলা দশঘর এলাকার মৃত রমজান আলী ছেলে খামারি মো. আনছার আলী।

জানা যায়, ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি লম্বায় ৬ ফুট, উচ্চতায় ৪ ফুট। প্রায় ১৯ মণ ওজনের ‘আদর’-এর দাম রাখা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা।

বিশালাকৃতির ষাঁড় আদরকে দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছেন। ইতিমধ্যে কয়েকজন ষাঁড়টির দরদাম করেছেন। ন্যায্যমূল্যে পেলে ষাঁড়টি বিক্রি করে দেবেন মালিক আনছার আলী।

‘আদর’-এর মালিক আনছার আলী বলেন, ‘এই ষাঁড় চার বছর ধরে লালন-পালন করছি। ওজন প্রায় ১৯ মণ। আর সাদা-কালো রঙের আদর-এর দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। ষাঁড়টি ন্যায্যমূল্যে পেলে কষ্ট করে হাটে না গিয়ে বাড়ি থেকে বিক্রি করে দেব।

তিনি বলেন, ষাঁড়টি মোটাতাজাকরণে কোনো ওষুধ, ইনজেকশন কিছুই ব্যবহার করা হয়নি। প্রাকৃতিক উপায়েই তাকে বড় করা হয়েছে। দিনে দু’বার গোসল করানো হয় আদরকে। সার্বক্ষণিক চলে ফ্যান। এর খাদ্য তালিকায় থাকে সবুজ ঘাস, খড়, ভুট্টা ভাঙা, বিভিন্ন ভুসি, সরিষার খৈল, ধানের কুড়া, পাকা বিভিন্ন ফল ও লবণ।

জগন্নাথপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলায় একটি ১৯ মণ ওজনের বিশাল আকৃতির ষাঁড় আছে। যদি আদর ১৯ মণ ওজনের হয় তাহলে জগন্নাথপুর উপজেলায় সবচেয়ে বড় আকৃতির ষাঁড় হবে আদর। আমাদের অফিস থেকে আদরকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি, চাহিদা অনুযায়ী পশুর ব্যবস্থা রয়েছে। আশা করি এ বছর খামারিরা ভালো দাম পাবেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *